ছবি: সংগৃহীত
করোনা মহামারি শুরুর আগের বছর সৌদি আরবকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বজুড়ে পর্যটন ব্যবসায় বেশ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল। আর মহামারি শেষ হওয়ার পরপরই যেন সেটির ফলও মিলেছে হাতেনাতে।
আর চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে পর্যটকদের আগমনের দিক থেকে সারা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে সৌদি আরব। মূলত মহামারি শুরুর আগের বছরের তুলনায় সৌদিতে যাওয়া পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথম সাত মাসে পর্যটক আগমনের দিক থেকে সৌদি আরব বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে সৌদি প্রেস এজেন্সি মঙ্গলবার জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মতে, চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় সৌদিতে পর্যটকদের সংখ্যা ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৌদি আরবে পর্যটক আগমনের এই তথ্যটি সেপ্টেম্বর মাসে ইউএন ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন থেকে নিয়ে প্রকাশ করেছে ইউএনডব্লিউটিও ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ব্যারোমিটার। এছাড়া রিয়াদ গত ২৭-২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের আয়োজন করেছিল।
সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রী আহমেদ আল-খতিব বলেছেন, এই অর্জন ‘মক্কা ও মদিনার দুটি পবিত্র মসজিদের রক্ষক বাদশাহ সালমান এবং ক্রাউন প্রিন্সের সমর্থন ছাড়া সম্ভব হতো না।’
আল-খতিব আরও বলেছেন, সর্বশেষ এই র্যাঙ্কিং বিশ্বব্যাপী পর্যটন গন্তব্য হিসাবে সৌদি আরবের মর্যাদাকে শক্তিশালী করেছে এবং পর্যটক আগমনের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য এই বৃদ্ধি দেশের পর্যটন শিল্পের বৈচিত্র্য এবং গুণমানের প্রতি ভ্রমণকারীদের আস্থাকেই প্রতিফলিত করে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের সিংহভাগ এলাকা মরুভূমি হলেও দেশটির বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে জুনিপার বৃক্ষে মোড়া আসির পর্বতমালা (৯ হাজার ৯০০ ফুট উঁচু), কোরাল সমৃদ্ধ নীলাভ পানির লোহিত সাগর, আল-হফুফের খেজুর গাছে ভরা মরূদ্যান এবং জেদ্দার সরু অলি-গলি আর মসলার বাজার।
লোহিত সাগর তীরবর্তী জেদ্দা শহরটিতে কার্যত সকল দেশের মানুষ বসবাস করে। ফলে সাংস্কৃতিক দিক থেকে এই শহরটি খুবই বৈচিত্র্যপূর্ণ। লোহিত সাগরের তীরের এই বন্দরনগরী ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের রাজধানী ছিল।
এছাড়া সৌদির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে সবুজ জুনিপার বৃক্ষে ঢাকা আসির পর্বতমালার সৌন্দর্য খুবই বৈচিত্রপূর্ণ। পাঁচ লাখের মত হামদ্রিয়াজ বেবুনের বসবাস এই পাহাড়ি জঙ্গলে। সেই সাথে রয়েছে হর্নবিল, ঈগল আর নীলচে আগামিড গিরগিটি।
সেখানে পাহাড়ের ওপরে ওঠার জন্য কেবল কারের ব্যবস্থা হয়েছে। পাহাড়ের খাদে খাদে রয়েছে অপূর্ব সুন্দর সব গ্রাম। সেখানে থেকে আসির পাহাড়ের ঢালের সৌন্দর্য চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো।
একে/
খবরটি শেয়ার করুন