ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের চকরিয়ায় লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন হত্যার ঘটনায় মূল হোতাসহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।শনিবার (২৮শে সেপ্টেম্বর) ভোরে চকরিয়া উপজেলার মধ্যম কাহারিয়া ঘোনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিজার্ভপাড়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩৮), ডুলাহাজারা মাইজপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে এনামুল হক (৫০)। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবুল কালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার মূল হত্যাকারী ডাকাত নাছির উদ্দিনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তার সহযোগী ডাকাত এনামকে দুটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: জেলের জালে ১০ কেজির ব্লাক কার্প, ৫ হাজারে বিক্রি
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ডুলাহাজরা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর পেয়ে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত সেখানে যায়। আনুমানিক ৪টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করার সময় সাত থেকে আট সদস্যের একটি ডাকাত দল সেনা টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার ডাকাত দলের কয়েকজনকে তাড়া করেন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা লেফটেন্যান্ট তানজিমের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। এতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তানজিমকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসি/ আই.কে.জে/