ছবি: সংগৃহীত
এবারও রমজান উপলক্ষে ১০ টাকা লিটারে নিজের খামারের দুধ বিক্রি করবেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর রৌহা গ্রামের খামারি এরশাদ উদ্দিন। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কেউ ১ টাকা অথবা বিনামূল্যে দুধ নিতে পারবেন। রমজানের প্রথম দিন থেকে তিনি এ কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
রোববার (৩রা মার্চ) দিবাগত রাত ১০টার দিকে তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন। প্রতিদিন যে কেউ তার খামার থেকে ১০ টাকা লিটার দরে সর্বোচ্চ ১ লিটার দুধ কিনতে পারবেন।
গত চার বছর ধরে পবিত্র রমজান মাসে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করছেন এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না, বরং আরও বড় পরিসরে এ কাজ করবেন তিনি।
এরশাদ উদ্দিন বাংলাদেশ মিলস্কেল রি-প্রসেস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জে সি অ্যাগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রৌহা গ্রামে এরশাদ উদ্দিনের জে সি অ্যাগ্রো খামারে প্রায় তিন শতাধিক গরু রয়েছে। এর মধ্যে, বর্তমানে ২০টি গরু প্রতিদিন ৭০-৭৫ লিটার দুধ দিচ্ছে। পুরো রমজানে সেই দুধ ১০ টাকা লিটারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খামার মালিক। যে কেউ ১০ টাকা লিটারে সর্বোচ্চ এক লিটার দুধ খামার থেকে কিনতে পারবেন।
আরো পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে এতিমদের জন্য ৬৫ লাখ টাকা জোগাড় করলেন ৯ প্রবাসী
এরশাদ উদ্দিন বলেন, সারাদিন রোজা শেষে মানুষ একটু ভালোমন্দ খেতে চায়। সবারই ইচ্ছা থাকে, ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে দুধ থাকুক। কিন্তু দুধসহ সবকিছুর দামই তো আকাশছোঁয়া। ইচ্ছা থাকলেও সবাই দুধ কিনতে পারবে না। এসব ভেবে এবার আরও বড় পরিসরে করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই রমজানে ১০ টাকা লিটারে ২ টন দুধ বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতিদিন ৭০ জনের কাছে এক লিটার করে দুধ বিক্রি করা হবে। চলবে রোজার শেষদিন পর্যন্ত। প্রতি লিটার দুধের দাম ধরা হয়েছে মাত্র ১০ টাকা। নিয়ামতপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনের কাছে এই দুধ বিক্রি করা হবে। এসব এলাকায় গ্রুপ ও রুটিন করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত গ্রুপ রুটিন অনুযায়ী দুধ কিনতে আসবে। ফলে দুধ কেনাবেচায় কোনো বাড়তি ভিড় হবে না।
এসি/ আই. কে. জে/