ছবি: সংগৃহীত
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর আট বছর কেটে গেলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) এখনো এই ইস্যুকে নিজেদের বিষয় হিসেবে দেখছে না বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) সহসভাপতি চার্লস সান্তিয়াগো।
তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট আমরা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার পর প্রথম উত্থাপন করি। আমরা সেপ্টেম্বরের শুরুতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। আমরা আবারও আসিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান ফান্ড গঠনের আহ্বান জানাই। আসিয়ান যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মানব পাচার, অবৈধ বাণিজ্য এবং বাড়তে থাকা অস্থিরতার খেসারত পুরো অঞ্চলকেই বহন করতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক এপিএইচআরের সহসভাপতি সান্তিয়াগো বলেন, ‘রোহিঙ্গা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। রোহিঙ্গা সংকট আসিয়ানের নিজস্ব সমস্যা। আসিয়ান যদি নিষ্ক্রিয় থাকে, তবে এর খেসারত হবে ভয়াবহ। মানব পাচার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান বৃদ্ধির পাশাপাশি শরণার্থীর ঢল, যা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে হবে। কারণ, এটি তাদের অধিকার।’
মালয়েশিয়ার সংসদ সদস্য ও এপিএইচআরের বোর্ড সদস্য ওং চেন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মানুষ এবং যেহেতু মিয়ানমার একটি আসিয়ান রাষ্ট্র, তাই আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে শরণার্থীশিবিরগুলোতে পর্যাপ্ত খাদ্যসহায়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। নইলে তারা শিগগিরই ব্যাপক অনাহারের ঝুঁকিতে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনসের প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য ও এপিএইচআরের সদস্য রাউল মানুয়েল বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিশু-তরুণদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই নিশ্চয়তার ওপর যে তারা মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার এবং শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক মিয়ানমার গড়ার কাজে অবদান রাখার উপযুক্ত উপকরণ পাবে।’
খবরটি শেয়ার করুন