রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নতুন ১২৮টি পোশাক কারখানায় ৭৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে *** ‘দেশের নারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইন পেশার সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন’ *** সৌদি তরুণী জারার ‘হালাল র‍্যাপ’ সংগীত নেট দুনিয়ায় জনপ্রিয় *** নাসার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ত্রুটি ধরিয়ে দিল ইরাকি কিশোর, পেল স্বীকৃতি *** ড. ইউনূস ইসরায়েলকে টাকা দিয়েছেন, এ দাবি ভুয়া: প্রেস উইং *** সৌদি আরবের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আজ ঢাকা আসছে *** সিইসির সঙ্গে বৈঠক করছে এনসিপি *** বিএনপি ‘সিরিয়াসলি’ সংস্কারে সহযোগিতা করছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ *** জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে বিএনপি *** হান্টিংটনের মাঠে মেসির আজকের ম্যাচে দর্শকের রেকর্ড

খ্রিষ্টানদের ‘আস-সাওম-উল-আরবাইন’ শুরু ৫ই মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১২ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ‘লেন্ট’ বা উপবাসের মৌসুম, যা ‘আস-সাওম-উল-আরবাইন’ নামে পরিচিত, সেটি শুরু হবে আগামী ৫ই মার্চ থেকে। শেষ হবে ১৭ই এপ্রিল। বাংলাদেশের অনেকের কাছে লেন্ট ‘খ্রিষ্টানদের রোজা’ নামে পরিচিত।

খ্রিষ্টধর্ম মতে, খ্রিষ্টানদের উপবাস চলে ৪০ দিন ধরে। এই সময়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় যিশুর এই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো স্মরণ করে।

তারা বিশ্বাস করেন, উপবাসের মৌসুম সেই ত্যাগের প্রতীক, যা যিশু তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে ৪০ দিন ধরে মরুভূমিতে উপবাস ও প্রার্থনা করে কাটিয়েছিলেন। তারা এই সময়টাকে ‘ক্ষমার সময়’ হিসেবে বিবেচনা করেন।

উপবাসের সময় খ্রিষ্টানরা ৪০ দিনের জন্য খাবার সীমিত করে ফেলেন এবং শুক্রবারে মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তাদের শুধু ‘অ্যাশ ওয়েন্সডে’ ও ‘গুড ফ্রাইডেতে’ অর্থাৎ বুধবার ও শুক্রবার উপবাস করতে হয়। যারা উপবাস করেন, তারা দিনে একবার খেতে পারেন। ‘অ্যাশ ওয়েন্সডে’ ও ‘গুড ফ্রাইডের’ পর প্রতি শুক্রবার তাদের উপবাস করতে হয়।

খ্রিষ্টানদের জন্য উপবাসের নিয়ম হলো, তারা ওই দিন মাছ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর মাংস খেতে পারবেন না। উপবাসের বাকি দিনগুলোয় তারা বাইবেল পড়েন, ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেন, দরিদ্রদের সাহায্য করেন, অসুস্থদের যত্ন নেন এবং বন্দীদের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেন।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক আরিয়ান স্টালিন সুখবর ডটকমকে বলেন, ‘মুসলমান ও খ্রিষ্টান উভয় ধর্মাবলম্বীরাই রোজা-লেন্টের মাসকে পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেন। দুই সম্প্রদায়ের মানুষ এ সময়ে গরিবদের অর্থ সহায়তা দেন এবং সমাজের দরিদ্রদের সাহায্য করেন।’

তিনি বলেন, ‘রমজানের শেষে আসে ঈদুল ফিতরের উৎসব। আর লেন্টের পরে আসে ইস্টারের উৎসব। যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। এতে উৎসবগুলোর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।’

এইচ.এস/



খ্রিষ্টান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন