শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয় *** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

খ্রিষ্টানদের ‘আস-সাওম-উল-আরবাইন’ শুরু ৫ই মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১২ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ‘লেন্ট’ বা উপবাসের মৌসুম, যা ‘আস-সাওম-উল-আরবাইন’ নামে পরিচিত, সেটি শুরু হবে আগামী ৫ই মার্চ থেকে। শেষ হবে ১৭ই এপ্রিল। বাংলাদেশের অনেকের কাছে লেন্ট ‘খ্রিষ্টানদের রোজা’ নামে পরিচিত।

খ্রিষ্টধর্ম মতে, খ্রিষ্টানদের উপবাস চলে ৪০ দিন ধরে। এই সময়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় যিশুর এই পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো স্মরণ করে।

তারা বিশ্বাস করেন, উপবাসের মৌসুম সেই ত্যাগের প্রতীক, যা যিশু তার ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে ৪০ দিন ধরে মরুভূমিতে উপবাস ও প্রার্থনা করে কাটিয়েছিলেন। তারা এই সময়টাকে ‘ক্ষমার সময়’ হিসেবে বিবেচনা করেন।

উপবাসের সময় খ্রিষ্টানরা ৪০ দিনের জন্য খাবার সীমিত করে ফেলেন এবং শুক্রবারে মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তাদের শুধু ‘অ্যাশ ওয়েন্সডে’ ও ‘গুড ফ্রাইডেতে’ অর্থাৎ বুধবার ও শুক্রবার উপবাস করতে হয়। যারা উপবাস করেন, তারা দিনে একবার খেতে পারেন। ‘অ্যাশ ওয়েন্সডে’ ও ‘গুড ফ্রাইডের’ পর প্রতি শুক্রবার তাদের উপবাস করতে হয়।

খ্রিষ্টানদের জন্য উপবাসের নিয়ম হলো, তারা ওই দিন মাছ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীর মাংস খেতে পারবেন না। উপবাসের বাকি দিনগুলোয় তারা বাইবেল পড়েন, ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেন, দরিদ্রদের সাহায্য করেন, অসুস্থদের যত্ন নেন এবং বন্দীদের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেন।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক আরিয়ান স্টালিন সুখবর ডটকমকে বলেন, ‘মুসলমান ও খ্রিষ্টান উভয় ধর্মাবলম্বীরাই রোজা-লেন্টের মাসকে পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেন। দুই সম্প্রদায়ের মানুষ এ সময়ে গরিবদের অর্থ সহায়তা দেন এবং সমাজের দরিদ্রদের সাহায্য করেন।’

তিনি বলেন, ‘রমজানের শেষে আসে ঈদুল ফিতরের উৎসব। আর লেন্টের পরে আসে ইস্টারের উৎসব। যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। এতে উৎসবগুলোর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।’

এইচ.এস/



খ্রিষ্টান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250