বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন *** খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে আইজিপি ও ডিএমপির কমিশনার *** আগামীকাল লন্ডনে নেওয়া হতে পারে খালেদা জিয়াকে *** তারেক রহমান এসএসএফ নিরাপত্তা পাবেন কিনা, যা জানালেন সৈয়দা রিজওয়ানা *** কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক লাক্স সুন্দরী *** ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ‘বর্ণবাদের দুর্গন্ধ’ *** আগামীকাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন জোবাইদা রহমান *** তেলের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ‘কারণ দর্শানোর’ নোটিশ দিয়ে বৈঠকে ডেকেছে সরকার *** ৭ দিন নীরবতার পর ইমরানের টুইট, ভেঙে দিলেন দলের রাজনৈতিক কমিটি

ছেলের বদলে মেয়ে সন্তানের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১২ই জুন ২০২৫

#

ছবি: বিবিসি

বিশ্বজুড়ে বাবা-মায়েরা ক্রমশ কন্যাসন্তানকে ছেলের তুলনায় বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন—একটি দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক প্রবণতা এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঐতিহ্যগতভাবে ছেলে সন্তানের প্রতি আকাঙ্ক্ষা থাকা পরিবারগুলোর মনোভাব এখন দ্রুত বদলাচ্ছে।

বিশেষ করে, জনসংখ্যায় বৃহৎ দুই দেশ চীন ও ভারতের প্রেক্ষাপটে এ পরিবর্তন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। একসময় এ দুই দেশে খুব সহজেই মানুষ আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তির সাহায্যে গর্ভে থাকা সন্তানের লিঙ্গ জেনে যেত এবং বিপুলসংখ্যক কন্যাভ্রূণ গর্ভপাতের শিকার হতো।

বুধবার (১১ই মে) ব্রিটেন-ভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে এভাবে আনুমানিক ২ কোটির বেশি কন্যাশিশু জন্মানোর আগেই হারিয়ে গেছে। তবে ২০২৫ সালের পূর্বাভাস বলছে, সারা বিশ্বে এবার কন্যাভ্রূণ গর্ভপাতের সংখ্যাটি নেমে আসবে মাত্র ১ লাখ ৭ হাজারে—যা ২০০০ সালের তুলনায় সাত গুণ কম। ২০০০ সালে বিশ্বজুড়ে ৮ লাখ ৬ হাজার কন্যাভ্রূণ গর্ভপাতের শিকার হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—দক্ষিণ কোরিয়া এ রূপান্তরের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। ১৯৯০-এর দশকে প্রতি ১০০ কন্যার বিপরীতে ১১৭টি ছেলে জন্মালেও বর্তমানে এ হার স্বাভাবিক ১০৫: ১০০-তে নেমে এসেছে। অর্থাৎ দেশটিতে বর্তমানে ১০৫ জন কন্যার বিপরীতে ১০০ ছেলের জন্ম হচ্ছে।

চীন ও ভারতে এখনো প্রতি ১০০ কন্যার বিপরীতে ১১১ এবং ১০৭ জন ছেলে জন্ম নিচ্ছে। তারপরও এই দুটি দেশে ধীরে ধীরে ভারসাম্য ফিরছে।

পশ্চিমা দেশগুলোতেও মনোভাবের এ পরিবর্তন লক্ষণীয়। ২০২৩ সালে ‘ডেমোগ্রাফিক রিসার্চ’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়—বেলজিয়াম, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে প্রথম সন্তান মেয়ে হলে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার প্রবণতা কম, অর্থাৎ অনেক বাবা-মা মেয়ে সন্তানই চাচ্ছেন।

ফিনল্যান্ডে ১৯৮০-এর দশকে প্রথম সন্তান কন্যা হলে মায়েরা তুলনামূলকভাবে দ্রুত সন্তানের বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যেতেন। তবে ১৯৯০-এর পর থেকে এ প্রবণতা মিলিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ও সাব-সাহারান আফ্রিকার অনেক অংশেও পরিবারে ছেলে-মেয়ে সংখ্যার ভারসাম্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

জাপানে একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, এক সন্তান নিতে ইচ্ছুক দম্পতিদের ৭৫ শতাংশই কন্যাসন্তানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন—যেখানে ১৯৮২ সালে এ হার ছিল মাত্র ৫০ শতাংশের নিচে।

আমেরিকায় কন্যাসন্তানের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, আইভিএফ-এর মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে কন্যা ভ্রূণ বেছে নেওয়ার হার বেড়েছে।

এইচ.এস/

কন্যা সন্তান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250