ছবি : সংগৃহীত
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এক গন্তব্য জাপান। সে দেশের আকর্ষণী সব স্থান, জাপানিজদের জীবনযাপন ও সুস্বাদু খাবারের খোঁজে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন জাপানে। এছাড়া সেখানকার প্রাচীন মন্দির, বাসস্থানসহ শিক্ষাব্যবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা নিতেও অনেকেই জাপান ভ্রমণ করেন।
জাপানের অন্যতম ককয়েকটি দর্শনীয় স্থান হলো- কিয়োটোর কিনকাকু-জি, ফুশিমি ইনারি, হিমেজি দুর্গ, মাউন্ট ফুজি ও এর আশপাশ, হট স্প্রিংস ও অনসেন টাউনস, নিক্কো জাতীয় উদ্যান, ফুজি-হাকোনে-ইজু ন্যাশনাল পার্ক, কানাজাওয়াতে কেনরোকুয়েন গার্ডেন।
তবে জানলে অবাক হবেন, জাপান এরই মধ্যে কিছু নিয়ম করেছে যা মানতে হবে সব পর্যটকদের। এর ব্যতিক্রম হলেই বিপদ। তাই জাপান ভ্রমণের আগে জেনে নিন সেখানকার নতুন ৩টি নিয়ম সম্পর্কে-
দৈনিক ৪০০০ এর বেশি পর্বতারোহী ফুজি পর্বতে আরোহণ করতে পারবেন না।
মাউন্ট ফুজি, জাপানের একটি আইকনিক প্রতীক। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক সেখানে ট্রেকিংয়ের জন্য বা ভ্রমণে যান। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে, এর শিখরে আরোহণ প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার।
তবে জাপান সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও পাহাড়ের ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দৈনিক ৪০০০ এর বেশি পর্বতারোহী ফুজি পর্বতে আরোহণ করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন : কোন সময়ে কাশ্মির ভ্রমণে গেলে বরফ আর টিউলিপের দেখা পাবেন!
গেইশাদের অযাচিত ফটোগ্রাফির জন্য কঠোর জরিমানা
কিয়োটো জাপানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে বিখ্যাত। এর ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাণবন্ত পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করে। সেখানকার জিওন জেলা, আইকনিক গেইশাদের আবাসস্থল হিসেবে সুপরিচিত।
তবে অত্যধিক পর্যটন ও অসম্মানজনক আচরণ এই সাংস্কৃতিক আইকনদের নিরাপত্তা উদ্বেগের দিকে পরিচালিত করেছে। গেইশাদের সুরক্ষার জন্য, পর্যটকদের এখন জিওনের নির্দিষ্ট এলাকা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া সেখানে অযাচিত ফটোগ্রাফির জন্য কঠোর জরিমানা আরোপ করা হবে বলেও জানা গেছে। কিয়োটোতে গেইশা দেখার সেরা জায়গা হলো জিওনের হানামি-কোজি-ডোরি (শিজো-ডোরি ও কেনিন-জি মন্দিরের মধ্যবর্তী অংশ) ও পন্টোচোর শিজো-ডোরি প্রান্তে।
ছয় মাসের ডিজিটাল নোমড ভিসা চালু করতে যাচ্ছে
যারা জাপানে দীর্ঘসময় থাকতে চান, তাদের জন্য একটি ভালো খবর হলো, জাপান ছয় মাসের ডিজিটাল নোমড ভিসা চালু করার পরিকল্পনা করেছে, পূর্ববর্তী ৯০ দিনের সীমাবদ্ধতা অপসারণ করে।
এই ভিসা প্রত্যন্ত কর্মীদের একটি বর্ধিত সময়ের জন্য জাপানের সংস্কৃতি ও জীবনধারায় নিজেকে নিমজ্জিত করার সুযোগ দেবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন