শনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা ও আয়ের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী *** প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী *** সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত *** পুলিশকে টার্গেট করেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: ডিবিপ্রধান *** শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী *** লাখ লাখ টাকার মুখি কচু বিক্রি হয় যশোরের বাসাবাড়ি হাটে *** বাজারে মানব চেহারার রোবট আনতে চান ইলন মাস্ক *** ভুলের পর ক্ষমা চাওয়া মহৎ গুণ *** লটকন চাষে ভালো আয় করছেন স্কুলশিক্ষক শামছুল আলম *** পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে করণীয় কী?

ইফতারের কতক্ষণ পর রাতের খাবার খাওয়া ভালো

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩১ অপরাহ্ন, ২৮শে মার্চ ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

রমজানে খাদ্যাভ্যাসের অনেক পরিবর্তন হয়। সারাদিন না খেয়ে থেকে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া হয়। যেহেতু অল্প সময়ের মধ্যে ইফতার, রাতের খাবার ও সেহেরি খাওয়া হয়, এ কারণে হজমজনিত সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, বমি হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে এবং রোজায় সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার সঙ্গে খাবার গ্রহণের সময়ও ঠিক রাখতে হবে।

ইফতারের কতক্ষণ পর রাতের খাবার খাওয়া উচিত এবং সেহরির খাবার কখন খাওয়া উচিত এ বিষয়ে চলুন জেনে নিই-

রাতের খাবার ইফতারের কতক্ষণ পর খাবেন সেটা নির্ভর করে ইফতারে কী ধরনের খাবার এবং কী পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে তার ওপর। ইফতারে যদি খুবই হালকা খাবার থাকে যেমন- এক গ্লাস শরবত, দুটি খেজুর, যেকোনো একটি ফল সেক্ষেত্রে রাতের খাবার নামাজের পর বা ইফতার করার এক ঘণ্টা পর খাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে রাতের খাবারে ভাত বা রুটি, সবজি, ডাল, মাছ মাংস ইত্যাদি খাবার রাখা যাবে।

কিন্তু ইফতারে যদি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন জাতীয় খাবার ও অন্যান্য বিভিন্ন আইটেম একসঙ্গে থাকে তখন অনেক ভারী খাবার খাওয়া হয়ে যায়। ইফতারে নুডুলস, পাস্তা, দই চিড়া ইত্যাদি ভারী খাবার থাকলে রাতের খাবার হালকা রাখতে হবে।

আরো পড়ুন : সুরভিত থাকুন দিনভর

ইফতারে ভারী খাবার খেলে খাবার হজম হতে সময় লাগে। তাই খাবার শেষ করার অন্তত আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর রাতের খাবার খাওয়া ভালো। ইফতার শেষ করে শুয়ে না থেকে একটু হাঁটাহাটি করা ভালো।

ইফতারে খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেশি হলে রাতের খাবারে একদম হালকা খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে। রাতের খাবারে এক গ্লাস দুধ, সঙ্গে একটি কলা, সেদ্ধ ডিম, এক বাটি স্যুপ বা এক বাটি সবজি রাখতে পারেন। এভাবে খাবার খেলে খাবার গ্রহণের পরিমাণ ব্যালেন্সড হবে এবং খাবার হজম হয়ে যাবে।

সেহেরির খাবার রাতের শেষভাগে খেতে হবে। অনেকে আছেন যারা একবারে রাত ১টা বা ২টার সময় খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান। এটা করা ঠিক নয়। সেহরির সময় শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা অন্তত আধা ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠে খাবার খাওয়া শেষ করতে হবে। সেহরিতে সুষম খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে যাতে সারাদিন শরীরে পর্যাপ্ত শক্তির জোগান দিতে পারে। সেহরিতে তেল-মশলাযুক্ত খাবার না রাখাই ভালো।

সেহরির খাবার হতে পারে নরম ভাত, মুরগির পাতলা তরকারি, মাছের তরকারি, সবজি অথবা দই চিড়া, ওটস, এক গ্লাস দুধের সঙ্গে খেজুর বা কলা ইত্যাদি।

এস/ আই.কে.জে


খাবার ইফতার

খবরটি শেয়ার করুন