ছবি: সংগৃহীত
২০২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে নতুন বাজারগুলোতে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নতুন বাজারে গত ১৪ বছরে দশ গুণ রপ্তানি বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ঠা এপ্রিল) বিজিএমইএ কার্যালয়ে 'রোডম্যাপ টু রিকভারি' শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সভাপতি গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমে আসায় এবং পোশাকের খুচরা বিক্রিতে কিছুটা গতি সঞ্চার হওয়ায় চলতি জানুয়ারি-মার্চ সময়ে আমাদের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আশার বিষয় হচ্ছে, শিল্পে আমরা নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের পদচারণা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংকটে আমাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে একই সময় বেশকিছু নতুন কারখানা ও নতুন বিনিয়োগ এসেছে। আমরা বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেওয়ার পর দিন থেকে অর্থাৎ ১৩ই এপ্রিল ২০২১ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি নতুন কারখানা বিজিএমইএর সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় অনুপ্রেরণা।
রপ্তানিখাতে সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। নতুন বাজারগুলোতে আমাদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা বিগত ১৪ বছরে দশ গুন বেড়েছে, অর্থাৎ ৮৪৯ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৮.৩৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে নতুন বাজারগুলোতে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১০.৮৩ শতাংশ বেড়েছে, বিশেষ করে তুরষ্কে ৬৩.৩৫ শতাংশ, সৌদি আরবে ৪৭.১৯ শতাংশ, চীনে ৪৪.৭৬ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩৬.৫৪ শতাংশ, রাশিয়ায় ২৫.৬৫ শতাংশ, অষ্ট্রেলিয়ায় ২১.২৯ শতাংশ, দক্ষিন কোরিয়ায় ১৭.১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে।
এইচআ/ আই.কে.জে