রবিবার, ১লা জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক, দুই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর *** ইশরাক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত আদালতের নির্দেশনার কপি পাওয়ার পর: ইসি সচিব *** আগামীকাল শুরু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ *** সুপেয় পানি নিশ্চিত করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব *** জাতীয় বাজেট ঘোষণা আগামীকাল *** রান বন্যার আইপিএলেও অবিশ্বাস্য কিপটে বুমরাহ! *** ৮৫ হাজার ১৬৪ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন *** চাকরি অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা অপপ্রয়োগের আশঙ্কা আছে: জ্বালানি উপদেষ্টা *** শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি *** দেশের ইতিহাসে প্রথমবার বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচারিত

মুসলমানদের ইতিহাস মুছে ফেলতে ৩৫০০ গ্রামের নাম বদলে দিল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:০০ অপরাহ্ন, ২৪শে জুন ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগে নথিভুক্ত ২৫ হাজার গ্রামের নাম নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে নরওয়ের একটি সংস্থা ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সেখানেই তারা দেখতে পেয়েছে যে, নিজেদের কমিউনিস্ট আদর্শ প্রচার করতে শিনজিয়াং প্রদেশে ৩ হাজার ৬০০টি গ্রামের নাম বদলে দিয়েছে চীনা প্রশাসন। এর মধ্যে প্রায় ৬৩০টি গ্রাম সরাসরি উইঘুর মুসলিমদের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের গ্রামের নামের সঙ্গে উইঘুর বা মুসলিম সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট শব্দ যুক্ত ছিল। সেই শব্দগুলো বাদ দিয়ে নতুন নামকরণ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে উইঘুর মুসলিমদের গ্রামের নাম কীভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কয়েকটি উদাহরণও দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোনো কোনো গ্রামের নামের সঙ্গে দুতার শব্দটি যুক্ত ছিল। যার অর্থ উইঘুর বাদ্যযন্ত্র। অথবা কোনো কোনো নামের সঙ্গে মাজার শব্দটি যুক্ত ছিল। তা বদলে ঐক্য, সম্প্রীতি, আনন্দের মতো শব্দ বসানো হয়েছে।

এই ধরনের শব্দ চীনের শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করে। এই শব্দগুলোর সঙ্গে কমিউনিস্ট শাসনের যোগ আছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। এখানেই শেষ নয়, সুফি শব্দ হোজা, হানিকা কিংবা বকসির মতো শব্দও বদলে দেওয়া হয়েছে। অবলুপ্ত করা হয়েছে ১৯৪৯ সালের আগের উইঘুর ইতিহাস।

আরো পড়ুন: গৃহকর্মী শোষণ: ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবারের চার সদস্যের কারাদণ্ড

শিনজিয়াং অঞ্চলে এভাবে আরো বহু গ্রামের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু অন্যান্য জনজাতির গ্রাম আছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

মূলত উইঘুরদের ঐতিহ্য ধ্বংস করতেই একাজ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

চীন-কাজাখস্তান সীমান্তে প্রায় এক কোটি উইঘুর মুসলিম বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ সামনে আসছে। এ নিয়ে চীনকে সতর্ক করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির বড় কোনো বদল ঘটেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।

এসি/ আই.কে.জে/

চীনা ইতিহাস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন