প্রতীকী ছবি
চলছে বর্ষা। এ সময়ে সবজি ও মাছ-মাংস ভালো করে ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এ সময় ফিতাকৃমির সংক্রমণ ঘটতে পারে। ফিতাকৃমির সংক্রমণ নতুন নয়; তবে খাদ্যাভ্যাস থেকেই এ অসুখ বেশি ছড়ায়। এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।
কয়েক বছর আগে ভারতে এক শিশুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করে বড়সড় একটি সিস্ট বার করেছিলেন চিকিৎসকরা। তার ভেতরে ছিল শয়ে শয়ে ফিতাকৃমির লার্ভা। সিস্টের ফলে মাথায় অসহ্য ব্যথা হতো শিশুটির। ক্রমশ অসাড় হতে শুরু করেছিল দেহের একাংশও।
আধা সিদ্ধ বা কম আঁচে রান্না করা মাংস, মাছ ও সবজিতে যদি ফিতাকৃমির ডিম থাকে, তা হলে তা মানুষের শরীরেও প্রবেশ করতে পারে। এর পাশাপাশি অপরিশোধিত পানি থেকেও হতে পারে এ সংক্রমণ।
কারণ, এটি ঘটা অস্বাভাবিক নয়; পূর্ণবয়স্ক কৃমি যদি কোনোভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করে, তাহলে বিশেষ সমস্যা সৃষ্টি হয় না। মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে এমনিতেই অনেক সময়ে কৃমি পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কৃমির ডিম বা লার্ভা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সেটি শুধু ক্ষুদ্রান্ত্রে সীমাবদ্ধ থাকে না। রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে পৌঁছে যায় মস্তিষ্কে। আর তেমন যদি ঘটে, তবে মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট করে দেয়।
কোন কোন সবজি সাবধানে খাবেন, তা জেনে নিন—
ফুলকপি: ফুলকপি দেখলে বোঝা যায় না। তবে এর মধ্যে ফিতাকৃমির ডিম কিংবা লার্ভা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই কপি খাওয়ার আগে তা লবণ ও গরম পানি দিয়ে ভাপিয়ে নিতে হবে।
বাঁধাকপি: ফুলকপির মতোই বাঁধাকপি থেকেও ফিতাকৃমির সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই সালাদে কাঁচা বাঁধাকপি খাওয়ার আগে সাবধান।
বেগুন: বেগুনে ফিতাকৃমির ডিম থাকে অনেক সময়। এমনও দেখা গেছে, ভালো করে না ধুয়ে রান্না করলে ডিম থেকেই যায় এবং তা সহজেই শরীরে প্রবেশ করে।
ঝিঙে: ঝিঙে কাটার পর তা ভালো করে দেখে নিতে হবে ভেতরে ডিম কিংবা লার্ভার মতো কিছু আছে কী না। ঝিঙের ভেতরে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিতাকৃমির ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়। তাই খাওয়ার আগে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
কচুপাতা: কচুপাতায় শয়ে শয়ে ডিম পাড়ে ফিতাকৃমি। ভালো করে না ধুয়ে কচুপাতা রান্না করলে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন