সোমবার, ২০শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** পাকিস্তান দেখাল কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ডিল’ করতে হয় *** দেশে লাগাতার অগ্নিকাণ্ডে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে সরকারের কোর কমিটি *** নাহিদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বলল জামায়াত *** প্রথম আলোর আলোচনায় জুলাই সনদ *** আলোচনা-সমালোচনায় কবি-সাংবাদিক আলতাফ, সহকর্মীরা প্রতিবাদমুখর, সরব নারীনেত্রীরা *** জামায়াত সম্পর্কে কী এনসিপির নতুন উপলব্ধি *** খালেদা জিয়ার সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে যা জানাল বিএনপি *** একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জরুরি বৈঠক *** জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি *** আন্দোলনের জবাবে ট্রাম্প বললেন, ‘আমি রাজা নই’

প্রধানমন্ত্রীর বাণী

আর্থ-সামাজিক সূচকে অনেক উন্নত দেশের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, ২৬শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ফাইল ছবি

আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশের চেয়েও এগিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামীকাল ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৬শে ফেব্রুয়ারি) এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট পরিসংখ্যান, উন্নয়নের সোপান’।

শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার পাশাপাশি অনেক উন্নত দেশের চেয়ে এগিয়ে। আমি মনে করি, উন্নত পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয়ে একটি ‘সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আমাদের সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দিবস পালন এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর এবং ২১০০ সালের মধ্যে ‘ডেল্টাপ্ল্যান’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সময়ানুগ ও মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বিশ্ব দরবারে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।

সরকারপ্রধান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ৪টি পৃথক পরিসংখ্যান সংস্থাকে একীভূত করে ১৯৭৪ সালে বিবিএস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে বিবিএসসহ জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বয় ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদানের জন্য ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে একটি সুসংহত আইনগত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে আওয়ামী লীগ সরকার ‘পরিসংখ্যান আইন-২০১৩’এবং পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সমন্বিত উন্নয়নের জন্য ‘জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র ২০১৩-২০২৩’ প্রণয়ন করেছে। 

আরও পড়ুন: ‘বিবিএস’র তথ্য-উপাত্ত সরকারের সার্বিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার সক্ষমতার অন্যতম প্রকাশ হলো ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা এবং এক মাসের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। এমডিজির লক্ষ্যসমূহ সফল বাস্তবায়নের পর এসডিজির লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস’ পালন করছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন শেখ হাসিনা।

সূত্র: বাসস

এসকে/ 

জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250