মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: সংগৃহীত
বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকা একরকম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আন্দোলনকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড হিসেবে ব্যবহৃত ‘রোড ব্লকার’ একত্র করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিলে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সেচ ভবনের সামনে তৈরি করা অস্থায়ী তাঁবুতেও আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন দেওয়ার স্থানে বিপুল পরিমাণ আসবাব ও সিরামিকসের থালাবাসন ভাঙচুর করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেলা ২টার দিকে (প্রতিবেদন লেখার সময়) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে সরিয়ে দেন।
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসাদ গেটে এবং আন্দোলনকারীরা আসাদ গেটের উল্টো দিকে অবস্থান নিয়েছেন। উভয় পক্ষের অবস্থানের কারণে বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে এবং পুলিশ থেমে থেমে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে।
সংঘর্ষের কারণে বর্তমানে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সাধারণ মানুষের হেঁটে চলাও বন্ধ রয়েছে, সেই সঙ্গে সড়কটিতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। এই প্রধান সড়কের পাশাপাশি মিরপুর সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পুরোটা এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। আন্দোলনকারী জুলাই যোদ্ধাদের একটি দল আড়ংয়ের দিকে এবং আরেকটি দল খামারবাড়ির দিকে অবস্থান করছেন।
‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে আজ শুক্রবার (১৭ই অক্টোবর) বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই সকাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ‘জুলাই আহত বীর’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে ওই এলাকায় অবস্থান নেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সনদপত্রে তাদের স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও আন্দোলনকারীরা আগের অবস্থানে অনড় থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে দিলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সূত্রপাত হয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন