সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাদের প্রতিদিন কতটা ফাইবার খাওয়া উচিত?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৭ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ফাইবার বা আঁশ হলো ফল, সবজি ও শস্যের এমন অংশ যা আমাদের পাকস্থলী সহজে হজম করতে পারে না। খাবারে ফাইবার থাকার গুরুত্ব সবারই জানা। পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে, এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধে ফাইবারের ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত ফাইবার রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আমাদের প্রতিদিন কতটা ফাইবার খাওয়া উচিত?

সুস্থ থাকতে দিনে শরীর কতটা ফাইবার গ্রহণ করতে পারবেন সে ব্যাপারে নানা পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় একজন ডায়েটিশিয়ান। তিনি জানান, অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণ শরীরের মধ্যে অস্বস্তিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে পেটে ফোলাভাব, গ্যাস, এমনকী ডায়রিয়াও হতে পারে। মূলত, আপনি আপনার পাচনতন্ত্রকে এটি যা পরিচালনা করতে পারে তার চেয়ে বেশি কাজ দিচ্ছেন। যার ফলে আপনার স্বাভাবিক মলত্যাগে ব্যাঘাত ঘটে।

ডায়েটেশিয়ানের ভাষায়, যদিও ফাইবার নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ শরীরের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। 

আরো পড়ুন : ফরমালিন দেওয়া আম চেনার সহজ উপায়

আপনার কতটা ফাইবার খাওয়া উচিত?

বয়স, লিঙ্গ এবং ক্যালোরি গ্রহণের মতো বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে ফাইবারের আদর্শ পরিমাণ পরিবর্তিত হয়।  ডায়েটেশিয়ান সুষমা প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম ফাইবার গ্রহণের নির্দেশ দেন। এই পরিমাণ ফাইবার গ্রহণ করলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। তবে এর বেশি গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। 

অত্যধিক ফাইবার গ্রহণ যেমন অস্বস্তি তৈরি করে তেমনি পরিমিত গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবার যোগ করলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে

স্বাস্থ্যকর পরিপাকতন্ত্রের জন্য ফাইবার অপরিহার্য। পরিমিত ফাইবার গ্রহণে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। 

রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে

ফাইবার রক্তে চিনির শোষণকে ধীর করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। 

পূর্ণ বোধ করা

ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে পেট ভরা অনুভূত হয়। এর ফলে অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। এর ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

ডায়েটেশিয়ান উচ্চ ফাইবার ডায়েটের পাশাপাশি হাইড্রেশনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, শরীরের হজমক্রিয়া ঠিক রাখতে এবং সুস্থতার জন্য ফাইবার গ্রহণের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া উচিত। 

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এস/ আই.কে.জে/

ফাইবার খাদ্যতালিকা

খবরটি শেয়ার করুন