সোমবার, ৩১শে মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরুষরা কেন মেয়েদের কাছে গোপনাঙ্গের ছবি পাঠান?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৫ অপরাহ্ন, ২৪শে মার্চ ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

তিনদিন আগে শেষবার স্ন্যাপচ্যাটে এক নারীকে নিজের পূর্ণ অবয়বের একটি ছবি পাঠান ব্রিটেনের বিগ ব্রাদার অনুষ্ঠানের সাবেক  প্রতিযোগী লুইস গ্রেগরি। তিনি বিবিসির ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ার অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললাম, কথায় কথায় প্রসঙ্গ ওঠায় আমরা পরস্পরকে একটা-দুটা ছবি পাঠালাম।’

তিনি জানান, ‘মাঝেমধ্যে আমি একটু ফ্লার্ট করতে চাইলে, মেয়েদের ছবি পাঠাতে বলি। কখনো তারাও পাঠাতে বলেন। ধরুন, আমি হয়তো মেয়েটির গোসল করার সময়কার কোনো ছবি পাই, বা আমি নিজেই হয়তো ওই রকম একটা ছবি পাঠাই।’

গ্রেগরি বলেন, তিনি এ রকম ছবি যখন পাঠান, সেটা অবশ্যই হয় পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে। কারো সম্মতি ছাড়া নিজের যৌনাঙ্গের ছবি আরেকজনকে পাঠানোটা আজব ও বিকৃত কাণ্ড। আমি সেটা কখনোই করবো না। তার পাঠানো ছবি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো নারী অভিযোগ জানাননি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সারা দুনিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী-পুরুষ পরস্পরের কাছে নিজেদের পূর্ণাঙ্গ ছবি পাঠিয়ে থাকেন। পূর্ণাঙ্গ ছবি বলতে অনেকেই মূলত যৌনাঙ্গের ছবি পাঠান, যা ‘ডিক পিক্স’ নামেও পরিচিত।

বিশেষ করে, নারীদের কাছে পুরুষদের এ ধরনের ছবি পাঠানো নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে। কেউ কেউ একে বিকৃত মানসিকতা বলেন, আবার কেউ বলেন পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে- উভয় পক্ষই নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেন।

লেখক ও সাবেক মডেল স্টিনা স্যান্ডারস বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি অপরিচিত পুরুষদের কাছ থেকে রোজ দুই-তিনটি আপত্তিকর ছবি পেয়ে থাকেন। গত তিন থেকে পাঁচ বছর যাবত তিনি এ ধরনের ছবি পেয়ে আসছেন এবং তিনি বলেন, সেগুলোর সবই ছিল ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’।

তিনি বলেন, ‘প্রথম যখন যখন এমন ছবি পেতে শুরু করি, সেটা ছিল খুবই অস্বস্তিকর ও বিভীষিকাময়। কিছুতেই সেসব দেখতে চাইতাম না। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে, আগের মতো আমি আর চমকে যাই না আপত্তিকর ছবি পেলে।’

স্যান্ডারস মনে করেন, তার কাজের ধরনের কারণে হয়তো পুরুষরা মনে করেন, তাকে গোপনাঙ্গের ছবি পাঠানো যায়। তিনি বলেন, ‘আমি নারী-পুরুষের সম্পর্ক, ডেটিং ও যৌন সম্পর্ক নিয়ে লেখালেখি করি, মানুষ হয়তো এটাকে আমন্ত্রণমূলক অবস্থান বলে মনে করেন। কিন্তু আদতে ব্যপারটি মোটেও তা নয়।’

স্যান্ডারস অনেক সময় পাল্টা মেসেজ পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেন, কেন তাকে এমন ছবি পাঠানো হয়েছে। অনেক পুরুষ জবাব দেননি, কিন্তু কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা শুধু ‘হ্যালো’ বলতে চেয়েছিলেন।

প্রতি তিনজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্রিটিশের মধ্যে দুইজন মনে করেন, অপরিচিত কাউকে নিজের যৌনাঙ্গের ছবি পাঠানো একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। বিবিসির রেডিও ফাইভের করা এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ব্রিটেনের বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটির প্রচলিত আইনে এর বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে।

এইচ.এস/


যৌনতা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন