বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত *** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা *** গোপালগঞ্জে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি: সেনাসদর *** বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্পের শুল্ক ১৫ শতাংশে নামাল দ. কোরিয়া *** মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার, ডিসেম্বরেই নির্বাচন *** শেখ হাসিনা আমলের নির্যাতনের অবসান, তবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন অব্যাহত: এইচআরডব্লিউ

বিবাহিত হলেও স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান এই দেশে!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪

#

প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)

বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এক বিছানায় স্বামী-স্ত্রী ঘুমান না! বিষয়টি বাঙালিদের কাছে অদ্ভুত শুনালেও এটি জাপানিদের কাছে খুবই স্বাভাবিক। হ্যাঁ, বিশ্বের অন্যতম সুশৃঙ্খল জাতি জাপানিদের কথাই বলছিলাম। জাপানে নানান ধরনের বিয়ের প্রচলন আছে। ফ্রেন্ডশিপ বিয়ে বা সেপারেশন বিয়ে। যা এরই মধ্যে বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

তবে আলাদা ঘুমানোর ব্যাপারে অনেকেই হয়তো এতদিন জানতেন না। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ দম্পতি আলাদাভাবে ঘুমান। এছাড়া ২৮ শতাংশ দম্পতি ঘুমান আলাদা ঘরে। শত শত বছর ধরে জাপানে এমন নিয়ম চলে আসছে।

মূলত জাপানিরা বিশ্বাস করে পর্যাপ্ত ঘুম আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। তাই সাউন্ড স্লিপ একজন মানুষের জন্য অবশ্যই দরকার। যা তাকে পরবর্তী দিন কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করবে। তাদের আলাদা ঘুমনোর মূল কারণ হলো, ব্যস্ত জীবনে সবার সময়সূচি আলাদা। দেরিতে বাড়ি আসা বা সকাল সকাল কাজে যাওয়া স্বামী-স্ত্রীর আলাদা আলাদা সময়ে হয়। সঙ্গীর বিশ্রাম যাতে ব্যহত না হয়, সে কারণেই তারা আলাদা ঘুমান।

এই ব্যবস্থা প্রতিটি ব্যক্তিকে নিরবচ্ছিন্ন এবং স্বাস্থ্যকর ঘুম উপভোগ করতে দেয়। তার উপর, শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গে ঘুমায়। তাই মা এবং সন্তানরা এক বিছানায় এবং বাবা আলাদা ঘুমোন। এতে সবারই সুবিধা হয়।

স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমালে আরও একটা সুবিধা হল, একজনের হাত পা আর একজনের গায়ের উপর পড়ে ঘুম বিঘ্নিত হয় না। একের নাক ডাকায় অন্যের অভিযোগ পোহাতে হয় না। ফলে দাম্পত্যে শান্তি বিরাজ করে।

যদিও অনেক দম্পতি মনে করেন আলাদা ঘুমোনো মানে দাম্পত্যে ভাটা, সেটা জাপানিরা মনে করেন না। ঘুম তাঁদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। !

আরো পড়ুন : যে অফিসে বলা যায় না কথা, ব্যবহার করা যায় না ফোন!

তবে জাপানে এটি প্রথা বা শত শত বছর ধরে চলে আসা সংস্কৃতি হলেও এটি কিন্তু ইউরোপেও বিদ্যমান ছিল। ইউরোপে, ১৯ শতকের শেষ পর্যন্ত দম্পতিরা আলাদাভাবে ঘুমাতেন এবং ২০ শতকে একই বিছানায় ঘুমানো একটি আদর্শ শৈলীতে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া জাপানে সম্প্রতি ‘সেপারেশন ম্যারেজ’ নামের একটি অদ্ভুত বিয়ের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। যেখানে তরুণ-তরুণীরা একসঙ্গে না থাকার শর্তে বিয়ে করছেন। এই ধরনের বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী আলাদাভাবেই বসবাস করেন এবং নিজেদের জীবনে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।

বিয়ের পর, তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই একসঙ্গে সময় কাটান, অন্য সময় নিজেদের স্বাধীনতা উপভোগ করেন। বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের বিয়েকে প্রেমের সম্পর্কের মতোই দেখছেন। প্রেমের সময় যেমন দম্পতিরা একে অপরের বাসায় থাকেন না, সেপারেশন বিয়েতেও স্বামী-স্ত্রী একইভাবে আলাদা থাকেন।

যদিও আইনগতভাবে বিয়ে হয়, কিন্তু এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুজনের জীবনযাপন আগের মতোই থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এমন বিয়েতে বিচ্ছেদের ঘটনা অনেক কমে যাবে। দুজন আলাদা পরিবারে বড় হওয়া মানুষ হঠাৎ করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। এতে বিবাহের মতো সুন্দর সম্পর্ক ভেঙে যায় শুধু এক ঘরে একে অন্যের মতো করে থাকতে গিয়ে। সুতরাং আলাদা বাড়িতে থেকে সুখে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সবাই।

সূত্র: আইরো ম্যাগাজিন, ভোকাল

এস/ আই.কে.জে/

স্বামী-স্ত্রী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন