শুক্রবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৯শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিটিশ পাসপোর্টসহ যা যা নিয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন বিচারপতি মানিক

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, ২৪শে আগস্ট ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

সিলেটের কানাইঘাট দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পলায়নকালে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তাকে আটকের সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে।

শুক্রবার (২৩শে আগস্ট) ওই সীমান্ত এলাকা থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটে আটক করা হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।

পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা, ব্রিটিশ পাসপোর্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন সামগ্রী সঙ্গে নিয়েছিলেন মানিক। কিন্তু যাদের সঙ্গে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চুক্তি করেছিলেন, তারাই নগদ সব টাকা নিয়ে চলে যায় তাকে একা ফেলে। তবে আটকের সময় বিজিবি তার কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করেছে।

আটকের পর বিজিবির সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মানিককে। কী কী নিয়ে পালাচ্ছিলেন— বিজিবি সদস্যদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে ছিল ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট, নগদ কিছু টাকা, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড।’

এ সময় পাশ থেকে একজন জানতে চান, ‘আজকে আটকের সময় আপনার সঙ্গে কী ছিল?’ জবাবে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘তেমন কিছু ছিল না। চল্লিশ হাজারের মতো টাকা ছিল। গতকাল ৬০-৭০ লাখ টাকার মতো ছিল। ওটা নিয়ে গেছে।’ নৌকাওয়ালা নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেগুলো ওই দুই ছোকরাই নিয়েছে। আমার সঙ্গে কিচ্ছু নাই, ফোন- ফোন নম্বর সব নিয়ে গেছে।’

এ সময় কয়েকজন তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন?’ তখন বিচারপতি মানিক বলেন, ‘প্রশাসনের ভয়ে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম।’ তখন অপর পাশ থেকে একজন বলেন, ‘আপনি তো অনেক জুলুম করেছেন।’ তখন তিনি বলেন, ‘আমি কোনো জুলুম করিনি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২শে আগস্ট) সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে জিয়া পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী মামলার আবেদন করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩রা অক্টোবর চ্যানেল আই’র টকশো ‘মেট্রোসেম টু দ্য পয়েন্টে’ জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিহিত করেন। গত বছরের ১৫ই ফেব্রুয়ারি এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী।’

২০১৩ সালের ১৯শে জুলাই ভিন্ন আরেক অনুষ্ঠানে হাসানুল হক ইনু এবং রাশেদ খান মেননও জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এছাড়া আসামিরা বিভিন্ন সময় জিয়া পরিবার নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ওআ/ আই.কে.জে/

বিচারপতি মানিক

খবরটি শেয়ার করুন