ছবি: সংগৃহীত
দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পাওয়ার খবরে অনুভূতি ব্যক্ত করে গীতিকবি-চিত্রনাট্যকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বলেন, ‘অপ্রত্যাশিতভাবেই পদক পাওয়ার খবর পেলাম। এটা সত্যিই ভালোলাগার বিষয়।’ তিনি এ পর্যন্ত কোনো পদকের জন্য আবেদন করেননি বলেও জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘খুশি হয়েছি খবরটি পেয়ে। খুশি হওয়ার কারণ, পদক পাচ্ছি সেটাও কিন্তু নয়। মূল খুশির কারণ, সরকারের কাছে আবেদন না করেও যে এমন পদক পাওয়া যায়, সেটা ভেবে। আমি এ পর্যন্ত কোনো পদক ও প্রাপ্তির জন্য আবেদন করিনি। আমি জানি না, আমার হয়ে অন্য কেউ করেছেন কি-না। তবে এটা সত্যিই ভালোলাগার বিষয়।’
শুক্রবার (১৫ই মার্চ) যশোরে গ্রামের বাড়িতে বসে মুঠোফোনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত বলতে পারব আনুষ্ঠানিকভাবে কথা হলে। আমাকে দ্রুত ঢাকায় যেতে বলেছেন কেউ কেউ। ভাবছি কালই (১৬ই মার্চ) ঢাকায় যাব। এরপর নিশ্চয়ই দাপ্তরিকভাবে সংশ্লিষ্টরা যোগাযোগ করবেন। তবে তার আগে ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশ সরকারকে, তারা আমাকে নিজ দায়িত্বে এই পদকের যোগ্য মনে করেছেন বলে।’
আরো পড়ুন: ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে ফেরদৌস
১৯৬৫ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিতভাবে চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন। প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রের জন্য তিনি গান লিখেছেন। তার লেখা জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে—‘সেই রেললাইনের ধারে মেঠোপথটার পাড়ে দাঁড়িয়ে’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে ভালোবাসা চাওয়াটাই ভুল’, ‘পদ্ম পাতার পানি নয়, দিন যাপনের গ্লানি নয়’, ‘আমার মত এত সুখি নয় তো কারও জীবন’, ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে আসে’, ‘আমি বধূ সেজে থাকবো, তুমি পালকি নিয়ে এসো’, ‘নদী চায় চলতে তারা চায় জ্বলতে’, ‘কি যাদু করেছো বলো না’ প্রভৃতি। তার প্রকাশিত গানের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। শুক্রবার (১৫ই মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
এসি/ আই. কে. জে/