শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় রসে ভরা মিষ্টি আঙুর চাষে মিলেছে সাফল্য

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২২ অপরাহ্ন, ১৭ই জুন ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলার তরুণ উদ্যোক্তার বাগানে ফলেছে রসে ভরা মিষ্টি আঙুর ফল। থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর ফল। দেখা যায় দু'পাশে সারি সারি গাছে ধরেছে আঙুর, মাথার উপর বাঁশের মাচায় ঝুলছে সবুজ আঙুর। একেক থোকায় শ-খানেক আঙুর। আঙুর চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ ওই কৃষক। ১৪ শতক জমির মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙুর। তা দেখতে যেমন মানুষ ভিড় করছেন তেমনই আঙুর চাষের পরামর্শ ও চারা সংগ্রহও করছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। এ অঞ্চলের মাটিতে আঙুর চাষ করতে দেখে একসময় যারা খোকনকে নিয়ে উপহাস করেছিলেন, এখন তারাই হতবাক হয়ে তার গুণগান গাইছেন।

স্থানীয় ও কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের উদ্যমী কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন। তিনি কখনো হলুদ তরমুজ, কখনো সাম্মাম চাষ করেন। 

ব্যতিক্রমী ফসল চাষ করে তিনি সফলও হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৪ শতক ধানি জমি একটু উঁচু করার পর আঙুর চাষ শুরু করেন। কয়েক মাস আগে তিনি প্রবাসে যায়। তার আরেক ভাই কাজী বিল্লাল হোসেন খোকন নার্সারির ব্যবসা করেন। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় দিঘিরপাড় টিআইকে মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষক। আনোয়ারের অনুপস্থিতিতে খোকন বাগানটি পরিচর্যা করছেন। বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ধানের মাঠের মধ্যে মাটি ভরাট করা একটু উঁচু জমি। সেখানে বাঁশ ও সিমেন্টের পিলার দিয়ে মাচা করা হয়েছে। মাচায় লতানো আঙুর গাছ। গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় সবুজ আঙুর। গাছের গোড়া পরিচর্যা করছেন আনোয়ারের স্ত্রী ও মা।

ডালাগুলো ঠিক করে দিচ্ছেন খোকন। কাজী বিল্লাল হোসেন খোকন বলেন, আমার নার্সারিতে কিছু আঙুর গাছ ছিল। গত বছর দুটি গাছ থেকে ১৭ কেজি আঙুর পাই। আঙুর মিষ্টি ও স্বাদ ভালো। গত বছর আমার ছোট ভাই আনোয়ার আঙুর বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন। তার ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তার চাষ দেখে অনেকে প্রথমে হাসাহাসি করেছেন। এখন ফলন দেখে তারা আঙুর চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রথম বছর অল্প কিছু ফল আসে। এবার ভালো ফলন এসেছে। আশা করছি, সামনের বছর এ ফলন আরও বাড়বে। একই গাছ থেকে কয়েক বছর ফল আসবে বলেও তিনি জানান।

আরো পড়ুন: দিনাজপুরে এবার ৫০০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

স্থানীয়রা জানান, আঙুর বাগান নিয়ে খোকন প্রচুর খাটা-খাটুনি করেন। প্রচন্ড খরার রাতেও বাগানে ২ ঘণ্টা পানি দেওয়ার কাজ করেন। খোকন একাই বাগানে কাজ করতেন। তার ভাবী তাকে মাঝে মধ্যে সহযোগিতা করেন। আঙুর বাগান করে এবার লাভবান বলেও জানান এলাকাবাসী।

পাশের গ্রামের কাউসার গণমাধ্যমকে বলেন, খোকন অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বাগানে এ আঙুর উৎপাদন করেছেন। পুরো উপজেলায় একমাত্র খোকনই আঙুরের চাষ করেছেন।

বলরামপুর গ্রামের অপর কৃষক তফাজ্জল বলেন, খোকনের বাগান দেখে আমরা এলাকার মানুষ অনুপ্রাণিত। এখান থেকে আঙুর চারা নিয়ে নিজেও চাষ করবো ভাবছি।

এসি/ আই.কে.জে

আঙুর চাষ কুমিল্লায়

খবরটি শেয়ার করুন