ছবি : সংগৃহীত
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, ওষুধেই ওজন কমবে। খাদ্যনিয়ন্ত্রণ, শরীরচর্চা হাঁটাহাঁটির এতো কষ্টের প্রয়োজন কী? যদি ওষুধেই ওজন কমে! তবে মনে রাখা জরুরী, সবার জন্য এসব ওষুধ নয়। যেকোনো ওষুধেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই প্রয়োজন ছাড়া কোনো ওষুধই সেবন করা উচিত নয়।
ওজন কমানোর কোনো ঝটপট উপায় এখনো পর্যন্ত নেই। ওজন যেমন রাতারাতি বেড়ে যায়নি, তেমন রাতারাতি কমানোও যাবে না। তাই ওজন কমানো কোনো শর্টকার্ট পদ্ধতি না ভাবাই ভালো।
আরো পড়ুন : যাদের জন্য ওষুধের কাজ করে পেয়ারা
চিকিৎসকদের মতে, কোনো মানুষের উচ্চতা মাপতে হবে সেন্টিমিটারে। তারপর তার থেকে বিয়োগ করুন ১০০। এবার যা থাকবে সেটাই হলো আপনার আদর্শ ওজন। আপনার উচ্চতা যদি ১৭০ সেমি হয়, তার থেকে ১০০ বিয়োগ করুন। থাকবে ৭০। এবার এর থেকে প্লাস মাইনাস ৫ রাখতে হবে। অর্থাৎ ৭৫-এর বেশি ওজন হলে বুঝতে হবে সমস্যা রয়েছে।
যে ধরনের ওষুধ ওজন কমানো ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন-
একধরনের ওষুধ রয়েছে যা শরীরের ফ্যাট শোষণে বাধা দেয়। সেই ফ্যাট লস ওষুধ সেবন করলে মলদ্বার দিয়ে বের হতে থাকে ফ্যাট। এছাড়া আরেক ধরণের ওষুধ রয়েছে যা মস্তিষ্কে খিদে কমানোর কাজ করে। এক্ষেত্রে মানুষের খিদে কম পায়। আর কম খাওযার ফলে কমে ওজন। এই ওষুধে এক বছরে কমতে পারে ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ ওজন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ওজন কমানোর ওষুধ কোনো ভাবেই খাওয়া যাবে না।
অর্থাৎ ঝটপট ওজন কমানোর চিন্তা না করে, কোনো ভুল পরামর্শ না নিয়ে, নিয়মিত শরীরচর্চা ও খাদ্যবাস ঠিক রাখতে হবে।
এস/এসি