শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিডনির পাথর গলাবে শসা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:১৯ অপরাহ্ন, ৭ই আগস্ট ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

স্বাস্থ্যকর ডায়েটে সালাদ থাকবে না এটা হতেই পারে না। আর সালাদের অন্যতম উপাদান হলো শসা। এই সবজিটিতে ওজন কমানো থেকে শুরু করে কিডনির পাথর গলানোসহ নানান উপকারিতা রয়েছে। খাদ্য বিশেষজ্ঞরা জনপ্রিয় এই সবজিটির উল্লেখযোগ্য কিছু গুণের কথা তুলে ধরেছেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কিডনির পাথর গলানোসহ আরো নানা উপকারিতা সম্পর্কে- 

১. শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে শসা খুবই উপকারী। একটি শসায় প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত সতেজ করে তোলে।

২. প্রতিদিন শরীরে যে সমস্ত ভিটামিনের প্রয়োজন বেশির ভাগই শসায় আছে। ভিটামিন এ, বি ও সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৩. শসা ডায়াবেটিস বা সুগারের সমস্যা প্রতিরোধ করে। শসায় থাকা বিশেষ উপাদান রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে পারে।

৪. শসার জলীয় অংশ দেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ বের করতে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথর গলে যেতে সহায়তা হয়। ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যার সমাধানে বেশ সাহায্য করে শসা।

৫. শসায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, ম্যাগনিসিয়াম, সিলিকা, পটাসিয়াম ও আঁশপদার্থ। এগুলো শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শসার উপাদান উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ দু’ই নিয়ন্ত্রণ করে। হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় উপকার করে।

৬. শসায় থাকে উচ্চমাত্রায় পানি। নিম্নমাত্রায় ক্যালরি থাকে। ফলে দেহের ওজন কমাতে আদর্শ এটি।

আরো পড়ুন : জাপানিদের কেন বয়স বাড়ে না

৭. শসায় বিশেষ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান থাকে। এটি জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

৮. শসায় যে পানি থাকে, তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।

৯. প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।

১০. শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।

১১. কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়।

১২. সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে। চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।

১৩. শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

১৪.  শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

১৫. ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।

এস/কেবি

শসা কিডনির পাথর

খবরটি শেয়ার করুন