ছবি (সংগৃহীত)
সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরেও পালিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব ঈদুল আজহা। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে তিন লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা।
সোমবার (১৭ই জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত এ নামাজে ইমামতি করেন শামসুল হক কাসেমী।
জামাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।
ঈদের নামাজে আশপাশের জেলা থেকে এ ময়দানে মুসল্লি-দের আসার সুবিধার্থে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা ছিল। মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদগাহ মাঠজুড়ে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
র্যাব, পুলিশ, আনসার সদ্যসরা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করেন। মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। গেটে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করেন।
গোর-এ শহীদ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে অংশ নিতে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থেকে আসা শামসুজ্জামান জুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা ছিল এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার গোর-এ শহীদ মাঠে নামাজ আদায় করার। আজ আল্লাহর রহমতে সেই সুযোগ হয়েছে। এতো বড় ঈদ জামাতে আগে কখনও নামাজ পড়া হয়নি। অনেক ভালো লাগছে। সময় পেলে আবারও এখানে নামাজ আদায় করতে আসব ইনশাআল্লাহ।
গোপালগঞ্জ জেলার জুয়েল শিকদার। ঈদের নামাজ শেষে কথা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে অনেক মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করেছেন। এর আগে কখনও এতো বড় ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করিনি। দিনাজপুর ছাড়াও আশেপাশের অনেক জেলার মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করেছেন। বড় জামাতে নামাজ আদায়ের সওয়াব বেশি। ঈদগাহ মাঠের পরিবেশ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে।
নামাজ শেষে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের প্রধান উপদেষ্টা ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, এ মাঠে একসঙ্গে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন
এইচআ