সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দড়িলাফে কি সত্যি লম্বা হওয়া যায়?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৪ অপরাহ্ন, ২০শে মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

প্রায় সব বাবা-মায়েদের চিন্তা থাকে শিশুরা সুস্থভাবে বেড়ে উঠছে কি না? তবে বেড়ে উঠার দুটি নির্দেশক হলো ওজন ও উচ্চতা। কার উচ্চতা কেমন হবে, তা বংশগত, পুষ্টি, ঘুম, হরমোন, বয়স ও লিঙ্গের মতো একাধিক বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যায়াম ও খেলাধুলা কিশোর বয়সে উচ্চতা বৃদ্ধিতে কিছু ভূমিকা রাখে। তবে একটা বয়সের পর সাধারণত উচ্চতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না, তবু স্কিপিং বা দড়িলাফে অনেকেই উচ্চতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দড়িলাফে কি সত্যি লম্বা হওয়া যায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কিপিং বেশ ভালো শরীরচর্চা। সুস্বাস্থ্য পেতে বিশেষ করে রক্তের ক্ষতিকর চর্বি কমাতে ও হৃদ্‌যন্ত্রকে ভালো রাখতে এটি সাহায্য করে। তবে এই ব্যায়াম করলেই যে আপনার উচ্চতা বাড়বে, এমন নয়। খুব বেশি ব্যায়াম করলেও উচ্চতায় বিশেষ হেরফের হয় না। 

মেয়েরা সাধারণত ১৪-১৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়তে থাকে আর ছেলেদের ক্ষেত্রে সেটা ১৬-১৮ বছর। চিকিৎসকদের মতে, ব্যায়াম বা খেলাধুলার সময় নড়াচড়ার ফলে সৃষ্ট মেকানিক্যাল লোড প্রাথমিক কিশোর বয়সে হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালে একটি মূল নিয়ামক হলো গ্রোথ হরমোন, যা ৯-১১ বছরের দিকে সবচেয়ে বেশি থাকে, এরপর আস্তে আস্তে কমে আসতে থাকে।

আরো পড়ুন : স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ

শরীরের দীর্ঘ হাড়ের প্রান্তের কাছে তরুণাস্থি দিয়ে তৈরি গ্রোথ প্লেট থাকে, যা কি না উচ্চতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। একটি শিশুর মধ্যে বৃদ্ধির প্লেটগুলো বন্ধ হয় না। তাই যেসব খেলাধুলার মধ্যে দৌড় এবং লাফ—দুই-ই রয়েছে, উচ্চতা বৃদ্ধিতে সেগুলো ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একবার বয়ঃসন্ধি এসে গেলে এই বৃদ্ধির প্লেটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে ব্যায়াম করলেও একজন ব্যক্তির উচ্চতার সে রকম হেরফের হয় না।

*হাড় মজবুত এবং বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম–জাতীয় খাবারও গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর খাবারও উচ্চতা বৃদ্ধিতে বেশ প্রভাব রাখে। তবে একটা বয়সের পর উচ্চতা বাড়াতে না পারলেও স্কিপিং খুব ভালো ব্যায়াম। 

*স্থূলকায় শিশুদের ওজন ঝড়াতে স্কিপিংয়ের জুড়ি নেই। 

*শরীরের মাংসপেশি সচল ও নমনীয় করে তোলার জন্য এই ব্যায়াম বেশ কার্যকর। 

*স্কিপিংয়ের ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালনের হার বেড়ে যায়। ফলে হৃৎপিণ্ডও ভালো থাকে। 

*স্কিপিংয়ের মাধ্যমে একবারেই সারা শরীরের ব্যায়াম করে নেওয়া যায়। প্রতিটি অঙ্গের জন্য আলাদা আলাদা করে ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। 

*শুধু মাংসপেশি নয়, হাড়ও মজবুত হয় এই ব্যায়ামে যা কি না ভবিষ্যতে অস্টিওপোরোসিস বা আর্থারাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমিয়ে দেয়। 

তাই বলা যায় উচ্চতা তেমন না বাড়ালেও শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে ভূমিকা রাখে স্কিপিং বা দড়িলাফ। 

এস/ আই.কে.জে/


ব্যায়াম দড়িলাফ

খবরটি শেয়ার করুন