ছবি: সংগৃহীত
নারী-পুরুষ উভয়েই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২৫টি চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে এ সংখ্যা যখন বেড়ে যায়, তখন তা সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে একটু বেশি চুল পড়ে। কিন্তু কিছু নারী সারা বছর চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। তাদের চুল ঝরে পাতলা হয়ে যায়। সাধারণত বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। যার কারণে হেয়ার ফলিকলগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে একটু টান পড়লেই চুল ছিঁড়ে যায়। নারীদের চুল পড়ার সমস্যাকে বলে অ্যানড্রোজেনেটিক অ্যালোপিসিয়া। এ সমস্যায় মাথার উপরিভাগে ও দুই পাশের চুল পড়ে যায় কিংবা পাতলা হয়ে যায়। নানা কারণে চুল পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
আসুন, কারণগুলো জেনে নিই-
নারীদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা কমন সমস্যা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে এবং দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হলে এই রোগ দেখা দেয়। আর এ কারণেই চুল উঠতে থাকে।
চুলের যত্নে শ্যাম্পু, তেলই যথেষ্ট নয়। সঠিক খাবার খাওয়ার দরকার। অনেক সময় দেখা যায়, দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এই কারণে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছায় না। আর চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে।
পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা বেশি। থাইরয়েড হরমোন দেহে একাধিক মেটাবলিজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তার প্রভাব চুলেও পড়ে। চুল পড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু থাইরয়েড।
আজকাল বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই অনেক মেয়ে পিসিওডি বা পিসিওএস-এর সমস্যায় ভুগছে। তবে, ওভারিতে সিস্ট থাকার কারণে চুল পড়ে না। এই অবস্থায় দেহে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন চুল ওঠে, ত্বকের লোমের আধিক্য বাড়ে, ব্রণ হয়।
গর্ভাবস্থায় দেহে নানা রকম পরিবর্তন হয়। আবার প্রসবের পরও শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। এই সময় অনেক নারীই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। এমনকি মেনোপজের সময়ও অনেক নারী চুল পড়ার অভিযোগ করেন।
নারীদের মধ্যে ঘুমের পরিমাণ কম। অথচ, নারীদেরই পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুমানো উচিত। ঘুম কম হওয়ার কারণে, জীবনে অত্যধিক পরিমাণে মানসিক চাপ বাড়লে দেহে হরমোনের তারতম্য ঘটে। তখনও চুল ঝরে।
কেবি/ আই.কে.জে/