ছবি: সংগৃহীত
রিয়াল মাদ্রিদে সুখেই আছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে পিএসজি ছাড়ার সময়টা মোটেও সুখকর ছিল না তার জন্য। পিএসজির সভাপতি নাসের আল খেলাইনিও নাখোশ ছিলেন কিছুটা। এমনকি দুই পক্ষের মধ্যে চলছে আইনি লড়াই।
হেনস্তার অভিযোগ জানালেও পরে সেটা তুলে নেন এমবাপ্পে। এত কিছুর মধ্যে মাঠের লড়াইয়ে সেই পিএসজির সঙ্গে পুনর্মিলনী হচ্ছে তার। আগে যা হয়েছে, তা সবই এখন অতীত। এমবাপ্পে এখন পুরোপুরি রিয়ালের। দলের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করতে মরিয়া তিনি। সেখানে বড় বাধা আপাতত পিএসজি। মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দারুণ ছন্দে থাকা দুই দল।
ক্লাব বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছেন এমবাপ্পে। তা-ও বদলি হিসেবে। পেটের পীড়ার কারণে খেলতে পারেননি প্রথম দুই ম্যাচে। পিএসজির বিপক্ষে আজ বুধবার (৯ই জুলাই) শুরুর একাদশে থাকবেন কী না, তা নিশ্চিত বলতে পারেননি রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো। কোয়ার্টার ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারানোর পর তিনি বলেন, ‘সে এখনো শতভাগ ফিট নয়। তবে দিন দিন ভালোর দিকে এগোচ্ছে।’
এমবাপ্পের জায়গায় সুযোগ পাওয়া গনসালো গার্সিয়া বেশ ভালোভাবে তা কাজে লাগাচ্ছেন। ৫ ম্যাচ শুরুর একাদশে খেলে ৪ গোল করেছেন তিনি। তবে ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি এসেছে এমবাপ্পের দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে। এমবাপ্পেকে ছাড়াই মাসখানেক আগে পিএসজি প্রথমবারের মতো জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। ক্লাব বিশ্বকাপেও দাপুটে ঝলক দেখাচ্ছে তারা। ৯ জনের দল নিয়েও শেষ আটে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছে ২-০ গোলে।
এমবাপ্পের মতো ম্যাচটা পুনর্মিলনীর পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের জন্য। খেলোয়াড়ি জীবনে ৫ মৌসুম তিনি কাটিয়েছেন রিয়ালে। তবে প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, ফাইনালে যেতে প্রত্যয়ী তিনি, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে আমরা সেমিফাইনালে কার বিপক্ষে খেলব। যেটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো, আমরা সেখানে আছি এবং আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে পৌঁছানো।’
খবরটি শেয়ার করুন