শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ছয় আসামির যাবজ্জীবন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৪ অপরাহ্ন, ২৯শে আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের রফিক হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ছয় আসামির যাবজ্জীবনসহ দশ আসামির কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২৮শে আগস্ট) বিকাল ৪টায় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার ৬ জনের যাবজ্জীবন এবং অপর ৪ জনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিচারক। 

এছাড়া রায়ে এই মামলার চার আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাদের হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই হত্যা মামলার রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট হলেও উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

দণ্ডিতরা হলেন- আড়পাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে ওয়াদুদ, ফয়জুর আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম, মকু আলীর ছেলে মাহবুব আলী, ওয়াদুদের ছেলে আজিজুর, মহাসিন আলীর ছেলে আরিফ, আবুল হোসেনের ছেলে জাকির, সাখাওয়াৎ হোসেনের ছেলে কাওছার আলী, পাচু আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলাম।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১৯৯৮ সালের ১৩ই জানুয়ারি বিকালে আসামিরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রফিকুলে ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর আসামি ইকবাল তার হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে রফিকুলকে আঘাত করে। রফিকুল পড়ে গেলে অন্যান্য আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ও গলা কেটে হত্যা করে। এসময় রফিকুলের চাচাতো ভাই নাজের, আকরাম তাকে রক্ষায় ছুটে গেলে আসামিরা তাদের পিটিয়ে জখম করে। আসামিরা রফিকুলের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে চলে যায়। 

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের লিভ টু আপিলের শুনানি সোমবার

এ ঘটনায় রফিকুলের ফুফাতো ভাই ইশারত হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ১৯৯৮ সালের ২৫শে আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সকল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক বুধবার আসামি ওয়াদুদ, রবিউল, জহিরুল, মাহাবুব, আজিজুর ও আরিফকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং জাকির, কাওছার, আব্দুর রাজ্জাক ও সহিদুল ইসলামকে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া অপর ৪ আসামি মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাদের হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। তিনি এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ ফয়সাল ইমাম জানান, এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। ন্যায়বিচার পেতে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

এসি/কেবি

যাবজ্জীবন হত্যাকাণ্ড

খবরটি শেয়ার করুন