নরওয়ে ফুটবল দলের তারকা আর্লিং হলান্ড। ছবি: সংগৃহীত
নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হওয়া মানুষদের দেখে তারা ‘নিশ্চুপ থাকতে পারে না।’ আর তাই ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে ম্যাচের লভ্যাংশ গাজার মানুষদের সাহায্যে তুলে দিতে চায় নরওয়ে ফুটবল। অসলোয় আগামী ১১ই অক্টোবর ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে নরওয়ে। খবর রয়টার্সের।
গত মঙ্গলবার নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লিসে ক্লাভেনেস বিবৃতিতে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গাজার সাধারণ মানুষের ওপর যে একতরফা ভয়াবহ আক্রমণ চলছে এবং তাতে মানবিক বিপর্যয় দেখে আমরা কিংবা আমাদের সংগঠন চুপ করে থাকতে পারে না। গাজায় প্রতিদিন জীবন বাঁচাচ্ছে এবং জরুরি সেবা দিচ্ছে এমন মানবতাবাদী সংগঠনকে আমরা দান করতে চাই।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নরওয়ে–ইসরায়েল ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। এ ম্যাচের টিকিট বিক্রি করে নরওয়ে ফুটবল ফেডারেশন কী পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইসরায়েলি ফুটবল ফেডারেশন অবশ্য চুপ করে বসে থাকেনি। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলা নরওয়ে ফুটবলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তারা, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এ।
বিবৃতিতে নরওয়ের প্রতি বলা হয়, ‘নিশ্চিত করুন অর্থটা যেন কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে না পড়ে কিংবা তিমি শিকারে ব্যয় না হয়।’ তিমি শিকারের জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনার সন্মুখীন হয়েছে নরওয়ে।
নরওয়ে ফুটবল জানিয়েছে, ১১ই অক্টোবর ম্যাচের নিরাপত্তা নিশ্চিতে উয়েফা ও স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে তারা কাজ করছে। উল্লেভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ, যার আসনসংখ্যা ২৬ হাজার। কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য এই ম্যাচে তিন হাজার টিকিট কম ছাড়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তার কারণে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক হয়ে কোনো ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না ইসরায়েল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে নরওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ তারা খেলেছে হাঙ্গেরিতে। ৪–২ গোলে ম্যাচটি জিতেছিল নরওয়ে। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইসরায়েল। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইতালি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন