ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণে বাঁচতে সাত তলা বিল্ডিং থেকে লাফ দেন মুজাহিদুল ইসলাম জুবায়ের(২১) নামে এক যুবক। তবে লাফ দেওয়ার পর মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন মুজাহিদুল।
বৃহস্পতিবার (২৯শে ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
আহত মুজাহিদুল ইসলাম জুবায়ের ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক ও উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আহত মুজাহিদুল ইসলাম জুবায়ের ৬ মাস ধরে কাজ করছিলেন বেইলি রোডের ভবনের ৪ তলার খানাস নামে একটি রেস্টুরেন্টে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসি) ১০২ নাম্বার ওয়ার্ডে। সেখানে মেঝেতে শুয়েই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল’র সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মুজাহিদুল ইসলাম জুবায়ের উপজেলার ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক। সে রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি করতো। ভবনে আগুন লাগার পরে দৌড়ে সাত তলায় আশ্রয় নেয়। পরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণে বাঁচতে সাত তলা বিল্ডিং থেকে লাফিয়ে পড়ে। এতে তার দুটি পা এবং মাজার একটি হাড় ভেঙে গেছে। বর্তমানে সে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরিবারসহ ইতালি যাওয়া হলো না মোবারকের!
আহত মুজাহিদুল ইসলাম জুবায়ের জানান, ঘটনার সময় আমি শেক বানাচ্ছিলাম। পরে আমাদের ক্যাশিয়ার বলছিল নিচে আগুন লাগছে। সবাই উপরে আসেন। এসময় অ্যাপ্রোন খুলে নিচের দিকে যেতে চাইলে তখন দেখি নিচে অনেক বেশি ধোঁয়া। নামার পরিস্থিতি নেই। এরপর দ্রুত ছাদে উঠে যাই। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম ছাদে। সেখানে মানুষজন আতঙ্কে চিৎকার করছিল, কান্নাকাটি করছিল। কয়েকজন ছাদ থেকে লাপ দেয়। এর একটু পরে আমিও লাফ দেই। এরপর কি হয়েছে তা আমার মাথায় নেই।
উল্লেখ্য, ভয়াবহ এই ঘটনায় পুড়ে গেছে ভবনের পুরোটাই। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৬ জন। জীবিত উদ্ধার হয়েছে অন্তত ৭৫ জন। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরো ৪২ জনকে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন