ছবি: সংগৃহীত
ব্যস্ততার ভিড়ে একান্ত নিজের প্রয়োজনগুলো কখন যে হারিয়ে যায়, সেদিকে আর নজর পড়ে না অনেক পুরুষের। ক্লান্ত শ্রান্ত দেহে যখন রোগ বাসা বাঁধে, তখন টনক নড়ে। সুস্থ থাকতে বাড়তি কোনো টনিক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা আর সহজ কিছু নিয়ম মেনে চলা। যৌনস্বাস্থ্যের বিষয়ে পুরুষদের সচেতনতা খুব দরকার। তবেই যৌনসঙ্গী ও স্ত্রীকে যৌনসুখে তৃপ্ত করা সম্ভব।
চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শুক্রাণুর সক্ষমতা কমতে থাকে। রাত না জেগে দ্রুত ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম শুক্রাণুকে সক্রিয় করে এবং ডিম্বাণুকে সহজে নিষিক্ত করতে পারে। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে রক্তে এক ধরনের খারাপ প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এ প্রোটিন বীর্যের মান নষ্ট করে দেয়।
যারা শরীরিক পরিশ্রম করেন না, তাদের মধ্যে যৌন অক্ষমতার প্রবণতা বেশি। অতিরিক্ত ধূমপান যৌন ক্ষমতাকে হ্রাস করে। যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে ধূমপান এবং মদপান থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ছাড়া অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার পুরুষের যৌনশক্তি কমিয়ে দিতে পারে।
যৌনস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রমে যৌনস্বাস্থ্য ভালো থাকে।
পুরুষের স্বাস্থ্যসম্মত পেশি সৌন্দর্য বাড়ায়। এ পেশি বানানোর জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম ও পরিমিত খাবার। প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন ও মিনারেল থাকতে হবে। মাংস কিংবা ডালের মতো উৎস থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন খেতে হবে।
প্রোটিন স্বাস্থ্যসম্মত পেশি গঠনে সহায়তা করে। পেশি গঠনে প্রতিদিন অন্তত বাড়তি ৫০০-১০০০ ক্যালরি প্রয়োজন। খাবার শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াবে, তবে পরিমিত ব্যায়াম না করলে পেশি গঠিত না হয়ে তলপেট ভারী হতে থাকবে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরে সামঞ্জস্য রেখে গঠিত হবে পেশি। দেহের শৌর্য–বীর্য বাড়বে, সঙ্গে সুস্থও থাকা যাবে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন