ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিড ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে তাগিদ দেন। বুধবার (২২শে মে) ইউরোপের তিন দেশ নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি করেন।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়ার লাপিড। গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি নেতানিয়াহুর সমালোচনায় সরব।
বুধবার (২২শে মে) তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর ঘোষণা করা উচিত যে, কিছু শর্ত এবং নির্দিষ্ট গ্যারান্টির অধীনে তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। (শর্তের একটি হচ্ছে) নতুন সেই রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগদান করবে।
তবে লাপিড শর্তাবলি বা গ্যারান্টি বা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থেকে সহযোগিতার প্রকৃতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত বলতে চাননি।
এ সময় তিনি আরও জানান, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নেতানিয়াহুকে বাধা দিচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গভির। উগ্রপন্থি এ মন্ত্রী সরকারকে তা করতে দিচ্ছেন না।
আরো পড়ুন : রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট মোসাদ এজেন্ট?
লাপিড বলেন, এই সরকারকে দিয়ে সমস্যা সমাধান হবে না। আমাদের নেতানিয়াহু সরকারকে বাড়িতে পাঠাতে হবে এবং একটি কার্যকরী সরকার গঠন করতে হবে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় বিরোধীদলীয় নেতা অভিযোগ করেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে নেতানিয়াহু সরকার ব্যর্থ।
ইসরায়েলে হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য তিনি সরাসরি নেতানিয়াহুকে দায়ী করেন। এ জন্য তিনি নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন।
বিরোধী দল থেকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবি উঠলেও এ ব্যাপারে কঠোর ইসরায়েল সরকার। বুধবার ইউরোপের তিন দেশ নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড থেকে ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের অবিলম্বে ইসরায়েলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ইউরোপের তিন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে ভালো করেনি বলেও হুংকার দেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে আজ ফিলিস্তিনিদের এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চায়, তারা সন্ত্রাসবাদকে মূল্যায়ন করে।
ইসরায়েল বলেছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর স্বীকৃতি ‘চরমপন্থা ও অস্থিতিশীলতাকে ইন্ধন দেবে’ এবং তাদের এ কাজ হামাসের হাতে দাবার গুটি তুলে দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, হামাস ইহুদিদের ওপর গণহত্যা চালানোর পরেও, হামাসের দ্বারা যৌন অপরাধ বিশ্ব প্রত্যক্ষ করার পরও দেশগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে হামাস ও ইরানকে পুরস্কৃত করেছে।
এস/ আই.কে.জে