সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা নিজেই বাড়িয়ে তুলুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

উজ্জ্বল ত্বক আমাদের সবারই পছন্দ। কিন্তু এই কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই আলাদা করে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন না। এতে অনেক সময় রোদে পুড়ে ও ধূলা ময়লায় ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। আর তখনই মাথায় হাজারটা চিন্তা আসে কীভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়। এমনকি অনেকে এমন ত্বক নিয়ে যথেষ্ঠ অস্বস্তিতেও থাকেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি

যে কোনো জিনিসকে ভালো রাখতে যেমন যত্নের প্রয়োজন ঠিক তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতেও নিতে হবে যত্ন। নাহলে হারিয়ে যাবে ত্বকের আসল রং। অনেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা কেমিক্যাল জাতীয় ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার করে থাকেন। এতে যেমন ত্বকের ক্ষতি হয় তেমনি দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকম সমস্যা।

তাই চাইলেই এসব ত্বক ফর্সা করা ক্রিম বা লোশনের পরিবর্তে আপনি ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবেন-

হলুদ

হলুদ হলো একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ঠ্য সমৃদ্ধ মসলা। এতে রয়েছে কারকিউমিন যা কেবল ত্বকের উজ্জ্বলতাই বৃদ্ধি করে না এটি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে

যেভাবে ব্যবহার করবেন

আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া এক কাপ বেসনের সঙ্গে মেশান। এরপর দুধ/পানি যোগ করে একটি মশৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এবার কয়েক ফোঁটা গোলাপ পানি মিশিয়ে নিন। এরপর এ মিশ্রণটি আপনার মুখে ও ঘাড়ে লাগান এবং শুকানো পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

আরো পড়ুন : উৎসবের আমেজে ত্বকের যত্ন

মধু

মধু ত্বকের ময়েশ্চারাইজার এবং ত্বককে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং বাড়িতে দাগ ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। মধুর ব্লিচিং বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ এবং পিগমেন্টেশন দাগ দূর করতে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

মধু সরাসরি মুখে এবং ঘাড়ে লাগাতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং স্যাঁতসেঁতে হতে হবে। মধু মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করুন। এরপর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ অয়েল

ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে অলিভ অয়েল। এটি ত্বকের দ্রুত বার্ধক্য রোধ করে। এই তেল ত্বকের ক্ষতি সারাতে বেশ পরিচিত। তাই সূর্যের সংস্পর্শে আসার পর ত্বকে অলিভ অয়েল তেল লাগালে ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষগুলো ধ্বংস করে দেয়। এই তেল শুধু ত্বকের জন্যই ভালো নয়, এটি ত্বকে সুন্দর চকচকে আভাও দেয়।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে সারা মুখে ও ঘাড়ে লাগান। ২-৩ মিনিটের জন্য ওপরের দিকে ম্যাসাজ করুন। এবার একটি তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেঁকে নিন এবং মুখে ও ঘাড়ে প্রায় ১ মিনিট রাখুন। আবার তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে মুখে ও ঘাড়ের অতিরিক্ত তেল আস্তে আস্তে মুছে ফেলুন। এবার আরেকটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ ও ঘাড়ের অংশ শুকিয়ে নিন।

কমলার রস

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে একটি হচ্ছে কমলালেবু। এটি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করতে পারে। এক গ্লাস কমলালেবুর রস ত্বকের রং পরিষ্কার করতে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে দারুণ কার্যকর। ব্রণ নিয়ন্ত্রণে এবং ত্বককে দৃঢ়তা দিতে কমলার রস যথেষ্ট উপকারী।

প্রতিদিন সকালে কমলার রস খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই রসে এক চিমটি লবণ এবং কিছু কালো মরিচ যোগ করতে পারেন। এ ছাড়াও আপনি কয়েক টুকরো কমলার খোসা নিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং তাতে কয়েক ফোঁটা গোলাপ পানি দিয়ে পিষে নিতে পারেন। এই পেস্টটি আপনার সারা মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দুধ

দুধ ত্বকে টাইরোসিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। তাই সুন্দর ত্বক পেতে কাঁচা দুধ একটি সহজলভ্য উপাদান।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

কাঁচা দুধ সরাসরি আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন বা অন্য কোনো উপাদানের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও লাগাতে পারেন।

এস/ আই.কে.জে/

ত্বকের উজ্জ্বলতা ঘরোয়া পদ্ধতি

খবরটি শেয়ার করুন