ছবি : সংগৃহীত
গর্ভাবস্থায় ডাক্তাররা হবু মাকে অনেক কিছু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেমন এই সময়ে আমলকী খেতে বলেন। কেন আমলকী খাবেন জেনে নিন।
১. আমলকী হলো একটি দুর্দান্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর উপাদান গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা সাধারণ জ্বর এবং মূত্রনালির সংক্রমণ রোধে সহায়ক।
২. সকালের দিকটা অনেক অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য খুব অস্বস্তিকর হয়। বেশিরভাগ হবু মা এই সময় ক্লান্তি অনুভব করেন, অলসতা অনুভব হয়, বমি বমি ভাব আসে, কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করে না, মেজাজও বিগড়ে থাকে। আমলকী বমি বমি ভাব এবং প্রাতঃকালীন অসুস্থতাকে দূর করতে চমকপ্রদ ওষুধ।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ্বরোগ, অন্তঃসত্ত্বাদের সাধারণ সমস্যা। আমলকীর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
আরো পড়ুন : চিয়া সিডস খাওয়ার আসল নিয়ম জানেন কি?
৪. গর্ভাবস্থায় হাত-পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া খুবই সাধারণ লক্ষণ। আমলকী খেলে এই সমস্যা মিটবে, কারণ আমলকীতে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এছাড়া আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এটা দেহকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
৫. আমলকী খেলে অন্তঃসত্ত্বাদের রক্তচাপ ঠিক থাকে। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে, যা স্বাভাবিক রক্তচাপ ধরে রাখে এবং রক্তচাপ বাড়তে দেয় না।
৬. গর্ভাবস্থায় মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় অনেকের। যার ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ আসে। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি এই দুই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত ভালো রাখে। দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে আমলকী হলো একটি চমৎকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর মধ্যে থাকা জলীয় উপাদানের কারণে প্রস্রাবে সমস্যা হয় না অন্তঃসত্ত্বাদের। প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলো বেরিয়ে যায়।
৭. গর্ভাবস্থায় অনেকের ডায়াবেটিস দেখা দেয়, যেটাকে গর্ভকালের ডায়াবেটিস বলে। গর্ভাবস্থার হরমোনগুলো ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ডায়াবেটিস হয়। আমলকীর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান হবু মায়েদের মধ্যে গর্ভকালের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনাকে কম করে।
যেভাবে খাবেন
কাঁচা আমলকী একটি বা দুটি করে টুকরো খেতে পারেন। জুস করেও খাওয়া যায়। প্রতিদিন এক চা চামচ আমলকীর গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
এস/এসি
খবরটি শেয়ার করুন