ছবি: সংগৃহীত
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ ও আমাদের প্রকৃতিক পরিবেশে আপন নিয়মে অনাদিকাল ধরেই উৎপাদিত হচ্ছে চেনা-অচেনা নানা জাতের ফল সম্ভার। এদের কোনো কোনোটাকে আমরা চিনি কিছুটা কম, কিছুটা ভালোভাবে।
লটকন আমাদের কাছে অল্প বিস্তর পরিচিত ফল। ইদানিংকালে পরিচিতি পাচ্ছে এ ফলটি।
লটকনের রয়েছে অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন ডাক নাম। বুবি, ডুবি, লটকা, নটকোনা, হাড়ফাটা, লটকাউ, কানাইজু, কিছুয়ান, আঁশফল প্রভৃতি নামে পরিচিত। প্রাপ্ত বয়স্ক একেকটি লটকন গাছ সাধারণত ৯ মিটার থেকে ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে।
বর্ষার অন্যতম ফল লটকন। এর স্বাদ টক-মিষ্টি। টক-মিষ্টির কারণে এ মৌসুমি ফলটি অনেকেই দারুণ পছন্দ করেন। বর্তমানে ফলটি তার পুষ্টিগুণের কারণে বাজারের অন্য ফলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আরো পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি সবজি 'হপ শুটস'
বর্তমানে লটকনের বাণিজ্যিক উৎপাদন ব্যাপকভাবে হচ্ছে। নরসিংদী জেলাতে লটকনের ফলন সবচেয়ে বেশি। এছাড়া সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাজীপুর এসব জেলায়ও ইদানিং বাণিজ্যিকভিত্তিতে লটকনের চাষ হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো চাষি শৌখিনভাবে লটকনের চাষ শুরু করেছেন। আমাদের প্রকৃতির মৌসুমি ফল হিসেবে লটকন বর্তমানে সহজলভ্য ও সমৃদ্ধ একটি ফল।
এসি/ আই.কে.জে