ছবি : সংগৃহীত
নারী-পুরুষের বৈধ ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার একমাত্র হালাল মাধ্যম বিয়ে। এটি সব নবীর আদর্শ। বিয়ের মাধ্যমে মানুষের জীবনে নেমে আসে রহমত ও বরকত। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়েকে ঈমানের পূর্ণতা বলেছেন।
মহান আল্লাহ বিয়েকে মানবজাতির প্রতি অনুগ্রহ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনে বলেন, আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্য থেকে এটি একটি যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীকে, যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি লাভ করতে পার এবং তোমাদের (স্বামী-স্ত্রীর) পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে, সেসব লোকের জন্য, যারা চিন্তাভাবনা করে। (সুরা রুম, আয়াত: ২১)।
ইদানীং পাত্রপাত্রী নির্বাচন কত কঠিন বিষয়; একদিক মেলে তো আরেক দিক মেলে না। তাই এ ক্ষেত্রে হাদিসের শিক্ষা হলো: যখন কোনো পাত্র বা পাত্রীর মাঝে দ্বীনদারি পেয়ে যাও তো বুঝে নাও এখানে অগ্রসর হওয়া যেতে পারে। এমনকি যদি অন্যান্য বিষয় অতটা পছন্দ নাও হয়। একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
إِذَا جَاءَكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَأَنْكِحُوهُ، إِلّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ وَفَسَادٌ
তোমাদের নিকট যদি এমন কারো প্রস্তাব আসে, যার দ্বীনদারি এবং চরিত্রের ব্যাপারে তোমরা সন্তুষ্ট তাহলে তার সাথে বিবাহ সম্পন্ন করে ফেল। অন্যথায় জগতে ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা হবে।
আরো পড়ুন : দ্রুত পদোন্নতি পেতে যা করবেন
এ কথা শুনে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন–
يَا رَسُولَ اللهِ، وَإِنْ كَانَ فِيهِ؟ قَالَ: إِذَا جَاءَكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَأَنْكِحُوهُ، ثَلَاثَ مَرّاتٍ
হে আল্লাহর রাসুল! যদি তার মধ্যে অন্য কোনো ত্রুটি থাকে? জবাবে আল্লাহর রাসুল তিনবার বললেন:
إِذَا جَاءَكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَأَنْكِحُوهُ
তোমাদের নিকট যদি এমন কারো প্রস্তাব আসে, যার দ্বীনদারি এবং চরিত্রের ব্যাপারে তোমরা সন্তুষ্ট তাহলে তার সাথে বিয়ে সম্পন্ন করে ফেল। (জামে তিরমিজি: ১০৮৫)।
বিয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে। সৌন্দর্য! তা তো দুদিনের। সম্পদ! তা তো যখন-তখন হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এ জন্য নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশনা দিয়েছেন– তুমি দ্বীনদারিকে প্রাধান্য দাও। তিনি বলেছেন:
নারীকে বিবাহ করা হয় চারটি জিনিস দেখে। তার সম্পদ দেখে, বংশমর্যাদা দেখে, রূপ দেখে এবং দ্বীনদারি দেখে। (হে মুমিন!) তুমি দ্বীনদার নারী বিবাহ করে ধন্য হয়ে যাও। (বুখারি: ৫০৯০)।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন