সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বারবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারা দেশটিকে ইলিশ মাছ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের প্রতিবেশী, সবকিছু মিলিয়ে আমরা দিতে বাধ্য হচ্ছি।’
আজ শনিবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধসংলগ্ন মৎস্য চত্বরে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জলাশয়ের মৎস্যজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘ভারতে ইলিশ দেওয়ার ব্যাপারটা যেটা হয়, গত বছর তিন হাজার মেট্রিক টনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দিতে পারছে মাত্র ৫০০ মেট্রিক টন। এবারও ভারতের কাছ থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে, তারা বারবার অনুরোধ করার প্রেক্ষিতে, এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তারা একটা অনুমতি আমাদের কাছ থেকে চেয়েছে, আমরা অনুমতি না দিলে দিতে পারছে না। এটার জন্য ১২০০ মেট্রিক টন দিয়েছে, দাম আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দুর্গাপূজার কথা বলছে, তারা আমাদের প্রতিবেশী, সবকিছু মিলিয়ে আমরা দিতে বাধ্য হচ্ছি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তবে আমি আজকে শুনে গেলাম, আপনাদের এ জেলাতেও যেন ইলিশ পাঠানো যায়, সেটা আমি চেষ্টা করব। আপনাদের না দিয়ে অন্য জায়গায় দিতে হচ্ছে, এটা আমার জন্য দুর্ভাগ্য।’
এ ছাড়া অবৈধ জাল তৈরি ও তা দিয়ে মাছ ধরা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানান, দেশের জলজ সম্পদ রক্ষায় অবৈধ জাল তৈরি ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। যারা এই কাজ করে, তারা দেশের শত্রু। অবৈধ জাল ব্যবহারকারীরাও সমান অপরাধী। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সভায় আরও বক্তব্য দেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, মৎস্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আবদুর রউফ, জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
খবরটি শেয়ার করুন