ছবি: সংগৃহীত
ত্বকের যত্নে অনেকেই হাজার হাজার টাকার প্রসাধন সামগ্রী কেনেন। আবার, বিপরীতে এমনও কেউ কেউ আছেন যাদের ত্বকের যত্ন নিয়ে রাজ্যের অনীহা! এরা শুধু পানি দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করতে পারলেই যেন বাঁচেন! তাদের জন্য সুসংবাদ, শুধু পানি দিয়েই হবে ত্বকচর্চা!
ত্বকে প্রাণসঞ্চার করতে পানি একাই একশ। যদি কেউ নিয়মিত শুধু পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করেন, তাহলেও ত্বকের ২০ শতাংশ কাজ হয়ে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বকচর্চায় পানিকে কাজে লাগানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে-
শীতে অনেকেই গোসল কম করেন। এই অভ্যাস ত্বকের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। তাই রোজ অবশ্যই গোসল করবেন। খুব বেশি গরম পানি দিয়ে অবশ্য গোসল করতে যাবেন না। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠবে আরও। হালকা গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল সেরে নিন। এটি ত্বককে দারুণ সতেজ রাখবে।
বাইরে গেলে আমাদের ত্বক ধুলা-ময়লার সংস্পর্শে আসে, কালচে ছোপ পড়ে যায়। এমনকি সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও ত্বক নির্জীব হয়ে পড়ে। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরেই তাই ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে ত্বকের ক্লান্তির ছাপ দূর হবে। ত্বকে ব্রণ, ফুসকুঁড়ি ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব কমবে।
আরো পড়ুন : শীতে চাই খুশকিমুক্ত সুন্দর চুল
ব্রণ ত্বকের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। ব্রণ দূর করতে শতশত টাকার রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। চুলায় পানি চড়িয়ে পরিষ্কার নিমপাতা ও পুদিনাপাতা দিয়ে দিন। ভালোভাবে ফুটিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা টি-ট্রি অয়েল যোগ করে সেই ভাপে ত্বক ভিজিয়ে নিন।
ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মুখেই পাফিনেস বা ফোলাভাব দেখা দেয়। এজন্য একটা বাটিতে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নিন। তারপর সেই ঠান্ডা পানিতে তুলা ভিজিয়ে নিন। তারপর ওই ঠান্ডা পানিতে ভেজানো তুলাটা দিয়ে মুখটা ভালো করে মুছে নিন।
পানি দিয়ে কিন্তু ময়েশ্চারাইজারও তৈরি করা সম্ভব। একটি স্প্রে বোতলে সমপরিমাণ পানি এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর মিশ্রণটি দিনে দুইবার মুখে স্প্রে করুন। এটি মুখকে হাইড্রেটেড রাখতে খুব কাজে দেবে। সাধারণ পানির বদলে গোলাপজলও ব্যবহার করতে পারেন।
এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় চালের পানি। কোরিয়ানরা ত্বকের যত্নে এ পানি নিয়মিত ব্যবহার করেন। চাল সারা রাত কিংবা ৩০-৪০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে, সে পানি দিয়ে টোনার কিংবা মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই পানি ত্বককে উজ্জ্বল রাখবে এবং বয়সের ছাপ দূর করবে।
সবচেয়ে জরুরি হলো, ত্বকে ভেতর থেকে পানি ধরে রাখা। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, ত্বকে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে এর স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা কিন্তু হারিয়ে যাবে। তাই প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পাশাপাশি রসালো ফল এবং অন্যান্য পানীয় গ্রহণ করতে হবে।
এস/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন