ছবি : সংগৃহীত
অনেকেরই দুধের তৈরি যে কোনো খাবার খেলেই পেটে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। দুধ খাওয়া ভালো, কিন্তু দুধ খাওয়ার পরই গ্যাস-বদহজমের কারণে পেট ফুলে গেলে তা অন্য কোনো বিপদসংকেত দেয়। তাই আগে থেকেই সাবধান। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়ার আগে সাবধান থাকুন।
দুগ্ধজাত পণ্য সুষম খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টিতে ভরপুর হয় দুধ।
তবে অনেকের জন্য দুগ্ধজাত খাবারগুলো হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উপযোগী নয়। কিছু দুগ্ধজাত দ্রব্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি হয় ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরো পড়ুন : যেভাবে পুদিনা পাতা খেলে কমবে ভুঁড়ি
হার্ট অ্যাটাক এড়াতে দুধের তৈরি যে জিনিসগুলোকে না বলবেন-
কনডেন্সড মিল্ক
মিষ্টি কনডেন্সড মিল্ক এ প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যালোরি থাকে, যা ওজন বাড়াতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিকল্প হিসেবে হুইপড দুধ বা মিষ্টি ছাড়া কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন।
আইসক্রিম
আইসক্রিমে চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। হার্টের স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপস না করে সাধারণ দই বা ঘরে তৈরি ফল-ভিত্তিক মিষ্টির মতো রস দিয়ে তৈরি আইসক্রিম বিকল্পগুলো বেছে নিন।
দই
স্বাদে দুর্দান্ত, তাহলে স্বাদযুক্ত দইতে অতিরিক্ত শর্করা থাকে, তাতে তরতর করে ওজন বাড়তে পারে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মিষ্টি ছাড়া দই খাওয়া ও মিষ্টির জন্য তাজা ফল যোগ করাও ভালো।
পনির
প্রক্রিয়াজাত পনিরে প্রায়ই উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যার ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের ওপর চাপ পড়তে থাকে। পরিবর্তে পরিমিত প্রাকৃতিক পনির বেছে নিতে পারেন।
এস/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন