ছবি : সংগৃহীত
বর্ষাকালে প্রকৃতি ভিন্ন এক রূপে সেজে ওঠে। মেঘে ঢাকা আকাশ, ঘন সবুজ প্রান্তর, বৃষ্টিতে ফুলে-ফেঁপে ওঠা নদী আর ঝর্ণা সব সৌন্দর্যই যেন উপভোগ করার মতো। তবে আপনি কি বর্ষায় বেড়াতে যাবেন? সঙ্গে যা যা রাখবেন তা আগে-ভাগেই প্যাকিং করে রাখুন।
বর্ষায় বেড়ানোর মজাই আলাদা। পাহাড়ের বুকে কালো মেঘের লুকোচুরি বা সশব্দে আছড়ে পড়া জলপ্রপাত, প্রকৃতির এই রূপ উপভোগের মোক্ষম সময় বর্ষা। চারিপাশে যেন সবুজ আর সজীব। প্রকৃতি যেন আপন খেয়ালে নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছে। আপনি যদি এই সময় বেড়ানোর পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে এখনই তৈরি হয়ে থাকুন। জামাকাপড় বা ক্যামেরার পাশাপাশি আরও কিছু জিনিসও নিয়ে নিন।
আরো পড়ুন : ভুটান ভ্রমণ ফি কমাল বাংলাদেশিদের জন্য
সঙ্গে রাখুন ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ
বর্ষার সময় বেড়াতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ নিতেই হবে। তা না হলে হঠাৎ বৃষ্টিতে আপনার কাপড় এবং জিনিসপত্র ভিজে যেতে পারে। ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ থাকলে এসব জিনিসগুলোও সুরক্ষিত থাকবে। তাই সাধারণ ব্যাগ না কিনে ওয়াটারপ্রুফ ব্যাকপ্যাক রাখুন।
জুতার দিকেও নজর দিন
বৃষ্টির দিনে এমনিতেই রাস্তায় পানি বা কাদা থাকবে। ফলে এই সময় সঙ্গে রাখতে পারেন বর্ষার জুতা। বর্ষায় হাইকিংয়ের জন্য বিশেষ ধরনের জুতা বাজারে পাওয়া যায়। তাই বেড়াতে যাওয়ার আগেই সবার জন্য বর্ষা উপযোগী জুতা কিনে রাখুন। কারণ বেড়াতে যাওয়ার আগে জুতা কেনার সময় নাও পেতে পারেন। তাছাড়াও এখন রাবার বা সিলিকনের জুতার কাভার পাওয়া যায়, চাইলে সেগুলোও কিনতে পারেন।
কেমন পোশাক পরবেন?
এই সময় এমন পোশাক রাখা উচিৎ, যেগুলো দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাই সুতির বদলে রেয়ন বা পলিয়েস্টারের জামা-প্যান্ট নিতে পারেন। আর অবশ্যই রেইন কোট রাখবেন। পোশাকের পাশাপাশি নিতে হবে ছাতা। আর যদি ঠান্ডার কোন জায়গায় যেতে চান, তবে রাখতে পারেন উইন্ড চিটার। শিশুদের জন্য অবশ্যই সঙ্গে রাখুন গরম কাপড়।
গ্যাজেট কভার রাখুন
অনেক সময় ব্যাকপ্যাকের মধ্যে প্রয়োজনীয় গ্যাজেট রাখা সম্ভব হয় না। ফোন, ঘড়ি, চার্জার বা ক্যামেরার সুরক্ষার জন্য আপনাকে সঙ্গে রাখতে হবে গ্যাজেট কভার। ফোন বৃষ্টি বা যেকোনো পানি থেকে বাঁচানোর জন্য এক ধরনের বিশেষ প্লাস্টিক কভার কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলো কিনতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। ধরে রাখতে পারবেন ঘুরতে যাওয়ার স্মৃতি।
এছাড়া বর্ষার সময় সঙ্গে রাখতে হবে টর্চ লাইট, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও মশা নিরোধক লোশন। কারণ পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর আশেপাশে ওষুধ নাও পেতে পারেন।
এস/ আই.কে.জে