শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে রমজান মাস, প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩২ অপরাহ্ন, ১লা মার্চ ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

আর ক’দিন পরেই শুরু হবে রমজান। পুরো একমাস রোজা রাখবেন এবং আল্লাহ্ তা-আলার ইবাদতে বন্দেগি থাকবেন মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা।

এই মাসটি বছরের অন্যান্য মাসের মতো নয়। যেখানে অন্য মাসগুলোতে দিনে তিনবেলা মূল খাবার খাওয়া হয়, সেখানে রমজান মাসে তা চলে আসে মূলত দুইবেলায়, সেহরি ও ইফতার। আবার সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে শরীরেও আসে কিছু পরিবর্তন। তাই রোজার প্রস্তুতি হিসেবে কিছু কাজ করে রাখতে পারলে ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি

রমজানে শারীরিক সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখা খুবই অত্যন্ত জরুরি। কারণ এসময় অসুস্থ হলে রোজা রাখাটাই কষ্টকর হয়ে দাড়াবে। তাই রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে প্রশান্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন।

আরো পড়ুন : কাবা শরীফের ইমাম হতে চান বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির

কথা কম বলা ও ঝামেলাপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আত্মীয় ও বন্ধু-পরিজনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। মন ভালো থাকে এ ধরনের কাজ করুন। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খান। পানি পান করুন নিয়মিত। অলসতা ঝেড়ে ফেলুন। কাজে ব্যস্ত থাকলে মনও ভালো থাকবে। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন। এতে সবকিছু সহজ মনে হবে।

খাবার

রোজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে খাবার। এই মাসে খাবারের ক্ষেত্রে প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। অনেকে এসময় বাইরে তৈরি ভাজাপোড়া ও মসলাদার খাবার খেয়ে থাকেন, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এ ধরনের খাবার আপনাকে বড় কোনো অসুখের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সতর্ক হতে হবে।

আবার রমজান মাসে রোজা রেখে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করাও কষ্টকর। তাই আগেভাগে কিছু খাবার প্রস্তুত করে রাখা যেতে পারে। পুরো রমজানের বাজার একবারে করিয়ে রাখতে পারেন। এতে রোজা রেখে বারবার বাজার করতে যেতে হবে না। এরপর কিছু ইফতারের পদ ও মসলা ইত্যাদি তৈরি করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। তাতে কাজ অনেকটাই কমে যাবে। পুরো রমজান মাসই আপনি ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।

শিশুদের জন্য

রোজায় শিশুদের খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ শিশুরা রোজা রাখতে পারে না। বড়দের কারণে যেন তাদের খাবারে কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এসময় রোজা রেখে শিশুর জন্য খাবার তৈরি করাটা ঝক্কির কাজ হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন শিশু খেতে পছন্দ করে এ ধরনের কিছু খাবার আগেভাগেই তৈরি করে ফ্রোজেন করে রাখতে। আবার যেসব খাবার সহজে তৈরি করা যায়, সেগুলোও কিনে রাখতে পারেন। সেইসঙ্গে ফল, সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারও শিশুর জন্য রাখুন। সম্ভব হলে খাবার তৈরি করার সময় শিশুকেও আপনার সঙ্গে রাখুন। তাতে সে নিজের খাবার নিজে তৈরি করে খাওয়া শিখবে। তবে শিশুকে চুলার আগুনের কাছে যেতে না দেওয়াই ভালো। এদিকে খেয়াল রাখুন।

পরিচ্ছন্নতা

পরিচ্ছন্নতা জরুরি। বিশেষ করে ইবাদতের জন্য পরিষ্কার ঘরদোর থাকতে হবে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও ভালো থাকে। একমনে প্রার্থনা করা যায়। তাই রোজা শুরু হওয়ার আগেই বাড়িঘর পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। ধুলো-ময়লা ঝেড়ে চকচকে করে রাখুন। আসবাবপত্র নিয়মিত মুছুন। বিছনার চাদর, বালিশের কভার, পর্দা এবং এ জাতীয় যা আছে সেগুলো আগেভাগেই ধুয়ে রাখতে পারেন। এতে রমজানে কষ্ট কম হবে। বাড়ির দেয়ালের রঙ পরিবর্তন করতে পারেন। দেয়ালে পছন্দের কোনো রঙ ব্যবহার করলে হৃদয়ে প্রশান্তি আসতে পারে।

এস/ আই.কে.জে/

রমজান মাস

খবরটি শেয়ার করুন