রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমলকি কেন এত উপকারী, খাবেন কীভাবে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, ২৬শে অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

আমাদের অতি সুপরিচিত ফল আমলকি। ভেষজ এই ফলের বিস্তার অপরিসীম, তাই একে মাদার অব ফ্রুটও বলা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই, আমলকি কেন এত উপকারী? খাবেন কীভাবে সে সম্পর্কে-

আমলকি কেন এত উপকারী?

এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, ১০০ গ্রাম আমলকিতে ভিটামিন ‘সি’-র পরিমাণ প্রায় ৬০০-৭০০ মিলিগ্রাম, যা পেয়ারা বা আভোগাডোর থেকে অনেকটাই বেশি। এছাড়া প্রচুর এন্টি অক্সিড্যান্টের উপস্থিতি একে করেছে আরও মূল্যবান।

আমলকির পুষ্টিগুণ

সর্দি-কাশির উপসর্গ থেকে মুক্তি দেয় : সিজন চেঞ্জের সময়ে আমলকির ব্যবহার আপনাকে সারা বছর সর্দি কাশি থেকে দূরে রাখতে পারে। ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টগুলো শ্বাসনালির স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

আরো পড়ুন : পুরোনো শাড়ি নতুনের মতো রাখার টিপস

কোলেস্টেরল কমাতে

শরীর থেকে ফ্রি রেডিক্যাল বার করতে সাহায্য করে বলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল LDL এর মাত্রা হ্রাস পায় এবং মেটাবলিজম বাড়ে, যা পরোক্ষভাবে ভালো কোলেস্টেরল HDL বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

ভালো পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি থাকে এবং উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিড্যান্টগুলো শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করে বলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বেশি খাওয়া ক্ষতিকর

ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় খুব বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া মুখের মধ্যে বা জিভে ও প্রদাহ হতে পারে।

কীভাবে খাবেন?

তাজা আমলকি খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। সকালে খালিপেটে এক কুচি কাঁচা আমলকি গরম পানির সঙ্গে বা এক চা চামচ আমলকির জুস এক গ্লাস উষ্ণ গরম পানির সঙ্গে – এভাবেই খেতে বলা হয়। শুকনো আমলকির ভিটামিন ‘সি’-এর পরিমাণ অনেকটাই কমে যায় এবং এতে নুন যোগ করা হলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। যাদের হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা আছে তারা এই নুন যুক্ত শুকনো আমলকি না খেয়ে ফ্রেশ আমলকিই ডায়েটে রাখবেন। যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা আমলকি এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে।

এস/ আই.কে.জে


আমলকি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন