ছবি : সংগৃহীত
কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দীর্ঘদিন ধরে ২টি ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু রয়েছে। প্রায় ৯ ঘণ্টার যাত্রায় এই ট্রেন দুটিতে এসি ও নন-এসি চেয়ার কোচে বসে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও শুয়ে যাওয়ার কোনো কেবিন কোচ ছিল না। যাত্রীদের জন্য এবার সেই ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ে সাধারণত ১০ দিন আগের ট্রেনের আসন অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করে। সেই হিসেবে বুধবার (২২শে মে) সকালে দেখা যায়, রেলওয়ের টিকিট বিক্রির অনলাইন সাইটে আগামী ১লা জুন থেকে এসি বার্থ ও এসি সিটের আসন বিক্রি শুরু করেছে। দুটি ট্রেনেরই উভয় দিকের প্রারম্ভিক স্টেশন ধরে অনলাইনে এসব আসন পাওয়া যাচ্ছে।
আরো পড়ুন : দেশে প্রথমবারের মতো শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে দিনে চলা ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেসে (৮১৬) যুক্ত হয়েছে এসি সিট (বসে যাওয়ার আসন)। তিনটি কোচে মোট ডাবল কেবিন রয়েছে ১২টি এবং সিঙ্গেল কেবিন রয়েছে ৯টি। প্রতিটি ডাবল কেবিনে আসন রয়েছে ৬টি করে এবং সিঙ্গেল কেবিনে আসন রয়েছে ৩টি করে। দিনের বেলায় এসব আসনে শুয়ে যাওয়া যাবে না। এসবের প্রতি আসনের ভাড়া ভ্যাটসহ ধরা হয়েছে ১৫৯০ টাকা।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রাতে চলা ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেসে (৮১৪) যুক্ত হয়েছে এসি বার্থ (শুয়ে যাওয়ার আসন)। তিনটি কোচে মোট ডাবল কেবিন রয়েছে ৬টি এবং সিঙ্গেল কেবিন রয়েছে ১৫টি। প্রতিটি ডাবল কেবিনে আসন রয়েছে ৪টি করে এবং সিঙ্গেল কেবিনে সিট রয়েছে ২টি করে। রাতের বেলায় এসব আসনে শুয়ে কিংবা ঘুমিয়ে যাওয়া যাবে। এসবের প্রতি আসনের ভাড়া ভ্যাটসহ ধরা হয়েছে ২৩৮০ টাকা।
কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন বিন্যাস ও ভাড়া বিপরীত হবে। অর্থাৎ পর্যটক এক্সপ্রেসে শুয়ে এবং কক্সবাজার এক্সপ্রেসে বসে আসতে হবে।
এর আগে গত ১৩ই মে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন শাখা ৬টি ট্রেনের রেক পুনর্বিন্যাস করে। সেখানে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ৩টি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্লিপার কার (ডব্লিউজেসি) পায়।
এস/ আই.কে.জে/