ছবি: সংগৃহীত
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ২০ হাজারের বেশি শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা এখনো চলমান। অথচ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে থাকা মামলার দ্রুত সমাধান হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর দায়িত্ব ও ভূমিকা পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেছেন, মতাদর্শিকভাবে মব নারী বা সংখ্যালঘু বিদ্বেষী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দুই মাসের মাথায় মব সন্ত্রাস নিয়ে সরকারকে অবগত করলেও এই এক বছরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।
আজ শনিবার (৯ই আগস্ট) সকালে রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি সভাটির আয়োজন করে।
সভায় আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুই মাসের মাথায় অর্থাৎ গত বছরের ৫ই অক্টোবরে ১৩ দফা দিয়েছিলাম। কথাবার্তাও বলেছি। ৮ মাসে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাজেট ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কথা বলেছি। জুলাইয়ে আহত এবং নিহত পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টিও ছিল। ২২ হাজার আহত পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া কী খুব কঠিন ছিল রাষ্ট্রের? টেকসই সমাধান দিতে পারত সরকার, সেটা হয়নি। মিথ্যা হত্যা মামলা নিয়েও কথা বলা হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। ড. ইউনূসের নামে মামলা দ্রুত সমাধান হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের হয়নি। ক্ষমতাবানদের মামলাও দ্রুত সমাধান হয়েছে।’
তিনি বলেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ৯০ শতাংশ মানুষ জুলাইয়ে আহত হয়েছেন। অসহায় ও দরিদ্র বলেই রাষ্ট্রকে তাদের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে কিন্তু সেখানে অনেক অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব অবহেলা করা হয়েছে। সচ্ছল পরিবার হলে তো রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকত না তারা।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকার গঠনের দুই মাসের মাথায় মাজার, মসজিদ, মন্দির, বাড়ি ঘর, ত্রাস সৃষ্টি ও প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো মব সৃষ্টির মাধ্যমে ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব সন্ত্রাসের সাথে জড়িতদের বিচারের কথা বলেছিলাম। কিন্তু এক বছরেও তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বা কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বরং প্রচ্ছন্ন কিছু সরকারের নিয়োজিত ব্যক্তিরা মব সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিতে গিয়েছে। তারা বলেছে, এটি প্রেশার (চাপ) গ্রুপ। অথচ মব ও প্রেশার (চাপ) গ্রুপ আলাদা। যৌক্তিক দাবি নিয়ে যারা রাস্তায় নামে, তারা প্রেশার গ্রুপ; আর মব প্রতিষ্ঠান, জমি দখল, পদ দখল করার জন্য। মতাদর্শিকভাবে মব নারী বা সংখ্যালঘু বিদ্বেষী।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন