ছবি : সংগৃহীত
সঞ্চয় কথাটা শুনতে সহজ হলেও বেশ কঠিন বিষয়। তবে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে মাস শেষে টাকা জমানো সম্ভব। আপনি যদি শিক্ষার্থী কিংবা নতুন আয় শুরু করেছেন এমন অবস্থায় থাকেন তবুও সঞ্চয়ের অভ্যাস করুন। শুনতে অসম্ভব মনে হলেও যখনই হাতে কিছু টাকা থাকবে, তা সঞ্চয় করে ফেলুন। এভাবে ধীরে ধীরে দেখবেন, আপনার বেশ টাকা জমে গেছে। আর এই সঞ্চয় জরুরি মুহূর্তে বেশ কাজে লাগবে।
সঞ্চয় করতে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
জরুরি তহবিল
সঞ্চয়ের শুরুতেই একটি জরুরি তহবিল তৈরি করুন। অন্তত তিন মাসের জীবনযাত্রার ব্যয় আলাদা করে রাখার লক্ষ্য রাখুন। তিনমাস না পারলেও একমাস চলার টাকা অবশ্যই আলাদা করে রাখতে হবে। কারণ যদি আপনি চাকরি হারান বা ব্যবসায় বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হন তখন এই জরুরি তহবিল থেকে ব্যয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুন : চাকরি ছাড়ার আগে যে বিষয়গুলো ভাবা প্রয়োজন
ঋণ পরিশোধ করুন
সঞ্চয়ে টাকা বিনিয়োগের আগে উচ্চ হারে কোনো ঋণ নেওয়া আছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিন। যদি উচ্চ হারে কোনো ঋণ নেওয়া থাকে তাহলে আগে ঋণের টাকা পরিশোধ করুন। তারপর সঞ্চয়কৃত টাকা বিনিয়োগ করুন।
খরচের তালিকা তৈরি
সঞ্চয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ খরচের তালিকা তৈরি। আপনি যা ব্যয় করছেন তার হিসেব লিখে রাখুন। এতে করে আপনি কীভাবে সঞ্চয় করতে পারেন সে বিষয়ে ভালো ধারণা পাবেন।
বাজেট তৈরি
সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে বাজেট তৈরি করা যেতে পারে। এক মাসে কতটুকু খরচ করবেন, তা নির্ধারণ করে রাখলে সঞ্চয়ের সুবিধা হয়। যে জিনিসটি চলতি মাসে না কিনলেও চলবে, তা পরের মাসের জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই এই বাজেটের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনের জন্য কিছু টাকা রাখতে হবে।
নির্দিষ্ট সঞ্চয় পরিকল্পনা
মাসে কতটুকু আয় হচ্ছে এবং কত ব্যয় হচ্ছে, তা নির্ধারণের পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করা যেতে পারে। মোট আয়ের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সঞ্চয় করা সম্ভব হলে ভালো। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী এটি কমানো যেতে পারে।
সঞ্চয়ের লক্ষ্য ঠিক করুন
সঞ্চয়ের জন্য একটি লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। কেউ ভ্রমণের জন্য, কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ বাড়ি বা গাড়ি কেনার জন্য, কেউ আবার বৃদ্ধ বয়সে একটু ভালো থাকার জন্য সঞ্চয় করেন। আপনি যে কারণে সঞ্চয় করবেন, তা স্থির করুন। সম্ভব হলে লক্ষ্য অনুযায়ী আলাদা আলাদা সঞ্চয় করতে পারেন।
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন