ছবি: সংগৃহীত
কমলা চাষে সাড়া ফেলেছেন লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার এক দম্পতি। শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষের সফলতায় গোটা জেলায় পরিচিতি লাভ করেছেন তারা।
শীতের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে নজরকাড়া ছোট বড়ো হলুদ রঙের, মিষ্টি কমলা। মিষ্টি ফলের মৌ মৌ গন্ধ, আর মৌমাছির গুঞ্জন মনকে বিমোহিত করে তোলে।
জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের খলিলুর রহমান ও ফাতেমা খাতুন মজুমদার শিক্ষক দম্পতি সমতল ভূমিতে চায়না, নাগপুরি ও দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করে বেশ সফল হয়েছেন।
খলিলুর রহমান উপজেলার মিলন বাজার মোজাম্মেল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্ত্রী ফাতেমা খাতুন মজুমদার পশ্চিম সারডুবি গ্রামের পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
জানা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে ওই শিক্ষক দম্পতি শুরু করেন বিভিন্ন গাছের নার্সারি। ২০১১ সালে এক বিঘা জমিতে দার্জিলিং জাতের কমলার চারা রোপণ করেন।
২০১৫ সালে ১৫২টি গাছে ব্যাপকহারে ফল আসা শুরু করে। কাঙ্ক্ষিত ফল উৎপাদনে তিনি প্রশংসিত হন ও স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে জাতীয় কৃষি পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর থেকে ওই শিক্ষক দম্পতির আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে বাড়ির আশপাশসহ প্রায় এক একর জমিতে কমলার বাগান তৈরি করেন। তিন বছর পর ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রতিটি গাছে আশানুরূপ ফল এসেছে। বর্তমানে কমলার রং হলুদ আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত বাজারে প্রায় লক্ষাধিক টাকার কমলা বিক্রি করেছেন তারা।
খলিলুর রহমান বলেন, আমার স্ত্রী ফাতেমা মজুমদার ২০১১ সালে দার্জিলিং জাতের কমলা বাড়ির সামনে রোপণ করেন। এরপর আমাদের কমলার বাগানের ব্যাপক নাম ছড়িয়ে পড়ে। কমলা বাগান করার তিন বছর পর প্রচুর পরিমাণে কমলা ধরেছে।
আমাদের নিজ পেশার পাশাপাশি কমলা বাগানের ফলের নিজেদের ফলের চাহিদা যেমন পূরণ হচ্ছে, তেমনি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছি।
আরও পড়ুন: ছাদে প্লাস্টিকের বোতলে ধানচাষ, বিস্ময়কর সাফল্য ডা. নাফিসার
ফাতেমা খাতুন মজুমদার বলেন, শখের বসে শিক্ষকতার পাশাপাশি কমলা চাষ করছি। ২০১১ সালে কমলা বাগান করার পর থেকে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সহযোগিতায় কমলা বাগানে সফলতা এসেছে আমাদের।
ফল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের জেলায় কমলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মূলত আমাদের দেশে কমলা বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমাদের দেশে উৎপাদনকৃত ফলের তেমন কোনো ভ্যাট-ট্যাক্স লাগে না। দেশি ফলগুলো কম দামে বিক্রি করতে পারি।
এসি/ আই.কে.জে/