আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একসঙ্গে দীর্ঘদিন খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের। ছবি: এএফপি
কানপুরে ভারতের বিপক্ষে গত বছর টেস্টের পর দেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এরপর ৮ মাসে বারবার তার ফেরার সম্ভাবনা শোনা গেলেও সেটা বাস্তবে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিবের এখন পর্যন্ত ‘শেষ’ ম্যাচে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একসঙ্গে খেলার সৌভাগ্য না হলেও মিরাজের সঙ্গে সাকিবের দেখা হয়েছে গত মাসে। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দুজনেই লাহোর কালান্দার্সে থাকায় সাকিবের সঙ্গে মিরাজের তখন বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছিল।
তখন কী আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, সেটা কদিন আগে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন মিরাজ। ২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘তার (সাকিব) প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এটা তো সবাই জানি। আর আমরা যখন একসঙ্গে লাহোর কালান্দার্সে খেলেছি, অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। কথা বলেছি। একসঙ্গে ছিলাম। তিনি হয়তো ওয়ানডে খেলতে চান। দেশের হয়ে আরও কিছুদিন ক্রিকেট খেলতে চান। সেটাই বলেছিলেন।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের কতটা হতশ্রী অবস্থা, সেটা আইসিসির সদ্য হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালেই স্পষ্ট বোঝা যাবে। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে দুই সংস্করণেই বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১০ নম্বরে। টেস্টে এশিয়ার দলটি রয়েছে ৯ নম্বরে।
এমন সংকটময় অবস্থায় বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংস্করণে অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন তিনি।
বাজে অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় বাংলাদেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজকে বাতলে দিয়েছেন সাকিব। মিরাজ বলেন, ‘একটা কথা বলেছেন যে সবার এক হয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে। সবাই এক হয়ে খেললে বাংলাদেশ ভালো করবে। আমাদের দলের হয়তো সাময়িক খারাপ যাচ্ছে; কিন্তু আমাদের দল অনেক ভালো এবং আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।’
সাকিব গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন। টেস্ট ও ওয়ানডেটা চালিয়ে যেতে চান। যেখানে অক্টোবরে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্টকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু দেশে ফিরতে চাইলে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তখন তাকে (সাকিব) নিরুৎসাহিত করেছিলেন।
নানা নাটকীয়তার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এ বছরের ৩০শে মে ফারুকের পরিচালক পদ বাতিল করে দেয়। যে এনএসসির মাধ্যমে ফারুক সভাপতি হয়েছিলেন, তাদের মাধ্যমেই সভাপতির পদটা হারালেন তিনি। ফারুকের পরিবর্তে ৩১শে মে বিসিবি সভাপতি হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যে সাকিব গত বছরের ৫ই আগস্ট পতন হওয়া আওয়ামী সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন, তাকে দেশে ফেরাতে বর্তমান সরকারকে রাজি করানো যাবে কি?
সভাপতি হয়ে মিরপুরে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বুলবুল বলেন, ‘উপদেষ্টার চাওয়া না-চাওয়ার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। উপদেষ্টা তো আর বিসিবি নির্বাচক না। এটা আমাদের নির্বাচক কমিটি দেখবে। দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের একটা প্রক্রিয়া আছে। নির্বাচকরা সেটা অনুসরণ করবেন। তাদের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করব।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন