সোমবার, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে সিইসির আশ্বাস *** তিন দলের তিন মত, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট করতে অনড় সরকার *** চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন এনসিপির নেতারা *** মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিকে ধারণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ *** কেউ যদি নির্বাচনের বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক: প্রধান উপদেষ্টা *** জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আলোচনা হয়নি: বিএনপি *** ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ *** ট্রাম্পের শুল্কের যে প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ১৫ হাজার গার্মেন্টসে *** বিস্ফোরণ-গুলি-ড্রোনের শব্দকে শ্রুতিমধুর সংগীতে রূপান্তর করছেন গাজার শিল্পী *** অশান্ত বিশ্বে সি–মোদির বন্ধুত্বের বার্তা

ইরানে ইসলামি শাসনের অবসান হতে পারে—আমেরিকান কর্মকর্তাদের ধারণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, ১৪ই জুন ২০২৫

#

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের পেছনে দেশটিতে ‘ক্ষমতা পরিবর্তনের’ প্রচেষ্টা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আমেরিকান গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। আমেরিকার দুজন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দাসংক্রান্ত একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক গোয়েন্দা বিশ্লেষণগুলোতে ইঙ্গিত মিলেছে যে, ইসরায়েল এমন একটি সুযোগ হিসেবে এ হামলাকে বিবেচনা করছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলার মূল উদ্দেশ্য ‘শাসন পরিবর্তন’ ছিল বলে কোনো সরাসরি গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট আমেরিকান সূত্র বলছে, ইসরায়েলের সরকারের দীর্ঘদিনের একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষা এ লক্ষ্য। আমেরিকান এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের এমন প্রয়াসকে সমর্থন করবে কী না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ইরানের বর্তমান ইসলামি শাসনব্যবস্থা ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর প্রতিষ্ঠিত হয়। আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বে শাহের পশ্চিমাপন্থী রাজতন্ত্রকে উৎখাত করে ওই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থায় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষমতা রয়েছে ‘সর্বোচ্চ নেতা’ বা ‘রাহবরে মোআজ্জাম’-এর হাতে।

তিনি দেশের সামরিক, বিচারিক ও গণমাধ্যম নীতিনির্ধারণেও প্রভাবশালী। ইরান একটি নির্বাচিত সংসদ ও প্রেসিডেন্ট থাকলেও বাস্তবে ক্ষমতা কাঠামোতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গার্ডিয়ান কাউন্সিলের আধিপত্য প্রবল। এ শাসনব্যবস্থা ধর্মীয় বিধান ও রাজনৈতিক কর্তৃত্বের এক মিশ্র রূপ।

এদিকে শুক্রবার (১৩ই জুন) ইরানে হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, এ হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু সক্ষমতাকে ধ্বংস করে ইসরায়েলের অস্তিত্বের হুমকি দূর করা।

কাটজ বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যদি তা হাতছাড়া হয়, তাহলে আর কোনো উপায় থাকবে না ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে রোধ করার।’

ইসরায়েল গত দেড় বছরে ইরানের ছায়াসেনা ও মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এলেও এবার সরাসরি ‘সাপের মাথায়’ আঘাত হেনেছে বলে উল্লেখ করেন কাটজ।

এদিকে আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড গত মার্চে কংগ্রেসে জানান, আমেরিকা এখনো মনে করে ইরান সক্রিয়ভাবে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা ২০০৩ সালে যে কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন, তা এখনো পুনরায় অনুমোদন দেননি।

এইচ.এস/

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন