ছবি: সংগৃহীত
ওষুধের মান পরীক্ষায় উন্নতমানের যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ।
তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি অনেকগুলো মেশিন কিনেছি ওষুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। যাতে করে মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। মানসম্মত ওষুধ তৈরি করতে পারলে আমরা তা দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারবো।
মঙ্গলবার (৩০শে জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রোবায়োটিকের গুরুত্ব নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, চীনের একটি বড় কোম্পানি প্রোবায়োটিকের কাঁচামাল নিয়ে এসেছে। তাদের এ ওষুধ আমরা মানুষের মাঝে দেবো। এগুলো দিয়ে দেখবো এতে কোনো সাইড এফেক্ট আছে কি না। আমি আশা করবো, কোম্পানি উন্নতমানের কাঁচামাল আমাদের দেশে পাঠাবে। যাতে দেশেই উন্নতমানের প্রোবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন এবং রপ্তানি করা যায়।
টোটাল হারবাল অ্যান্ড নিউট্রেশনের সিইও মুন্সি দারুল ইসলাম বলেন, মানুষের শরীরে দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, ভালো ও খারাপ। প্রোবায়োটিক এক ধরনের ভালো ব্যাকটেরিয়া। ভালো এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সামঞ্জস্যতা নষ্ট হলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। এই ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য প্রোবায়োটিক ক্যাপসুল, পাউডার দুধ ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। এর মাধ্যমে মানুষের শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। এতে সুস্থ থাকে শরীর।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরতা কমাতে চান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি জানান, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হলে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে ভালো ব্যাকটেরিয়াকেও মেরে ফেলে। প্রোবায়োটিক ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিকের সাইড ইফেক্টে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। এছাড়া নানা সমস্যা হয়। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর প্রোবায়োটিক খাওয়ানো প্রয়োজন।
চীনা কোম্পানি বায়োগ্রোয়িং প্রোবায়োটিকের কাঁচামাল উৎপাদন করে থাকে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে কাঁচামাল থেকে প্রোবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন।
এসকে/
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর মেজর জেনারেল মো. ইউসুফ ওষুধের মান পরীক্ষা
খবরটি শেয়ার করুন