ছবি: সংগৃহীত
আক্রান্ত মায়ের দুধ থেকে শিশুর শরীরে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। গবেষণায় প্রমাণ পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। মূলত খেজুরের কাঁচা রস থেকে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস। এ জন্য বিশেষ সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। চলতি বছর শনাক্ত রোগীদের ৬৪ শতাংশই নওগাঁ ও রাজবাড়ীর। সংক্রমণের শিকার ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন।
প্রকৃতিতে শীতের বার্তা। এরইমধ্যে অনেক জায়গায় খেজুর রস সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মূলত এই কাঁচা রস থেকেই ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর জানায়, এ বছর এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪। এদের পাঁচ জন নওগাঁ আর চার জন রাজবাড়ীর। শরীয়তপুর, পাবনা, নাটোর ও রাজশাহীতে একজন করে রোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মারা গেছেন।
আরো পড়ুন : যেভাবে এইডস ছড়ায়, প্রতিরোধে করণীয়
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, কারো যদি জ্বর-ঠান্ডা বা কাশি থাকে, তিনি যদি এর আগে খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে থাকেন বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে ডাক্তারকে খেজুরের রস খাওয়ার বিষয়টি জানাতে হবে।
চলতি বছর প্রথম, একজন মায়ের শরীরে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে নরসিংদীতে। পরে আক্রান্ত হয় তাঁর সন্তানও। গবেষণায় প্রথমবারের মতো প্রমাণ মেলে, বুকের দুধ পানে আক্রান্ত হতে পারে শিশু।
অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, সন্তান হওয়ার আগে বা পরে যদি কেউ খেজুরের কাঁচা রস পান করে ঠান্ডা-জ্বরে ভোগেন, তাহলে সন্তান থেকে মা কে দূরে রাখতে হবে। কারণ গবেষণায় প্রথমবারের মতো প্রমাণ মিলেছে আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ পানে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে শিশু।
২০০১ সালের দিকে দেশে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩৩৯ জনের শরীরে। এদের ২৪০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে খেজুরের কাঁচা রস আর প্রাণির খাওয়া ফল না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এস/ আই. কে. জে/