ছবি-সংগৃহীত
অভিনেতা আলী যাকেরের ৭৯তম জন্মদিন আজ। আলী যাকের ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার (বর্তমানে জেলা) রতনপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।
মাহমুদ তাহের ও রেজিয়া তাহেরের চার সন্তানের মধ্যে যাকের ছিলেন তৃতীয়। পিতার সরকারি চাকরির সুবাদে তিনি কুষ্টিয়া ও মাদারীপুরে শৈশব অতিবাহিত করেন।
আলি যাকের ১৯৬০ সালে সেন্ট গ্রেগরিজ উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হন।
১৯৭২ সালে আলী যাকের আরণ্যক নাট্যদলের হয়ে মামুনুর রশীদের নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর কবর নাটকটিতে অভিনয় করেন। এ ছাড়া ১৯৭২ সালে নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে আতাউর রহমানের নির্দেশনায় বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ নাটকে অভিনয় করেন।
আরো পড়ুন: দেশের একমাত্র নায়িকা যার বয়স সবার জানা
নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের জন্য বিশ্বখ্যাত বিদেশি নাটকের বাংলা রূপান্তর আর নাটক নির্দেশনা এসব কাজে আলী যাকের ব্যস্ত ছিলেন। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ওই দলে যোগ দেন সারা যাকের, যাকে শুরুতে চোখেই পড়েনি আলী যাকেরের। একটি নাটকের প্রদর্শনীর আগের দিন একজন অভিনেত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলে সারা যাকেরকে দেয়া হয় চরিত্রটিতে অভিনয় করতে।
আলী যাকেরের ওপর দায়িত্ব পড়ে চরিত্রটির জন্য তাকে তৈরি করার এবং খুব দ্রুত চরিত্রটির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেন সারা যাকের। এই প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে যান আলী যাকের।
১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে এই ঘটনার রেশ ধরেই আলী যাকের আর সারা যাকেরের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই সন্তান, পুত্র অভিনেতা ইরেশ যাকের ও কন্যা শ্রিয়া সর্বজয়া।
নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের মঞ্চে নূরুলদীনের সারাজীবন, দেওয়ান গাজীর কিসসা, কপোনিকের ক্যাপ্টেনসহ অনেক নাটকে অভিনয় ও নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া টিভির পর্দায় আজ রবিবার, বহুব্রীহিসহ বেশ কিছু নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক লাভ করেছেন। ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এসি/ আই. কে. জে/