ছবি: সংগৃহীত
সুগন্ধ এবং স্বাদের জন্য বিখ্যাত পানীয় চা বহু শতাব্দী ধরে মানব সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাদ এবং আরামের বাইরে, চা স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ উপকারী। বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ রুখতে শরীরকে সুস্বাস্থ্যকর করে তোলে এই অতি পরিচিত দৈনন্দিন পানীয়।
চায়ের অন্যতম প্রধান গুণ হল, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। চা, কালো, সবুজ, সাদা বা ভেষজ যা-ই হোক না কেন, পলিফেনল, ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড এর সঙ্গে বহুল পরিমাণে মিশে থাকে, যা শরীরের ক্ষতিকারক র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায় স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
যারা একটি স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য চা অতীব উপকারী হতে পারে। বিশেষ করে, গ্রিন টি-তে EGCG-এর মতো যৌগ রয়েছে, যা পরিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে তুলতে এবং চর্বি গলানোর পদ্ধতিকে বাড়িয়ে তোলে। সুষম খাদ্য এবং ব্যায়ামের সঙ্গে নিয়মিত চা খাওয়া ওজন কম করার প্রচেষ্টায় সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন : শারীরিক জটিলতা এড়াতে কিছু সবজি না খাওয়া ভালো
চা শুধুমাত্র একটি আরামদায়ক পানীয় নয়; এটি মগজের জন্য বিশেষ উদ্দীপকও। চায়ে থাকা ক্যাফিন এবং এল-থেনাইন এর সংমিশ্রণ মন শান্ত রাখে, সতর্কতা এবং মনঃসংযোগ বাড়ায়, ফলে যেকোনও কাজ আরও ভালো হতে পারে। মানসিক ক্লান্তি কমায় চা।
ভেষজ চা, যেমন ক্যামোমাইল এবং ল্যাভেন্ডার, মন শান্ত রাখার বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত, ক্লান্তি এবং উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের চাপ থেকে মানসিক অবকাশ দেয় এই পানীয়।
বহুকাল ধরে চা পরিপাকের সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেমন, পেপারমিন্ট চা বদহজম দূর করতে পারে, অন্যদিকে, আদা চা বমি বমি ভাব দূর করতে সহায়ক। চায়ের উষ্ণ জল এবং বিভিন্ন ভেষজ যৌগ পাচনতন্ত্রকে স্বাস্থ্যকর করতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে চায়ে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য। চায়ে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ইচিনেসিয়া এবং আদার মতো ভেষজগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে। বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ রুখতে শরীরকে সুস্বাস্থ্যকর করে তোলে এই অতি পরিচিত দৈনন্দিন পানীয়।
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন